অগ্নিকাণ্ড নিয়ে শুরু রাজনীতি, গাফিলতির অভিযোগ বিজেপির, নিশানা মমতাকে

অগ্নিকাণ্ড নিয়ে শুরু রাজনীতি, গাফিলতির অভিযোগ বিজেপির, নিশানা মমতাকে

কলকাতা: গতকাল রাতে রেলভবনের বহুতলে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে নয় জনের। মর্মান্তিক এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই একে অপরকে বিঁধে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। গতকাল ঘটনাস্থলে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলের উপর আঙ্গুল তুলেছিলেন। দাবি করেছিলেন, রেলভবনের মানচিত্র সঠিক সময় না মেলার জন্য উদ্ধারকাজে সময় লেগেছে। তিনি উল্লেখ করেন, রেলের জায়গা হওয়া সত্ত্বেও তাদের তরফ থেকে কেউ এগিয়ে আসেনি সাহায্যে। অন্যদিকে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল দাবি করেছেন যে রেল যথেষ্ট সহায়তা করেছে। এদিকে বিজেপি তরফে গাফিলতির অভিযোগ তুলে আক্রমণ করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় অভিযোগ তুলেছেন, গাফিলতি অবশ্যই হয়েছে এবং সেটার তদন্ত করে দেখা হবে। বহুতল গুলির পর্যবেক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক ভাবে করা হয়নি। এত জনের মৃত্যু সত্যিই মর্মান্তিক ব্যাপার এবং অবশ্যই দুঃখজনক ঘটনা। কিন্তু গাফিলতিতে হয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে টুইট করে মমতা সরকারকে আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য। তিনি লিখেছেন, “২০১০ সালে পার্ক স্ট্রিটের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন তখন অনেক প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু আজ, ১০ বছর পরেও সেই অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। পাত্তা না দেওয়ার কারণে আজ আবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো।” এখানেই না থেমে তিনি আরো দাবি করেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের দরকার উন্নততর ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট পলিসি এবং সঠিক প্রটোকল। পিসি আবার বাংলাকে হারিয়ে দিয়েছেন!” 

গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করার পাশাপাশি কেন দমকল কর্মীরা লিফট ব্যবহার করলেন সেই নিয়ে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, আগুন লাগলে লিফট ব্যবহার করতে নেই কিন্তু হয়তো ওরা তাড়াহুড়ো করার জন্য ব্যবহার করেছিলেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরেও এতগুলো মৃত্যু হওয়ার কারণে তিনি প্রচন্ড ব্যতীত। প্রসঙ্গত, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে দমকল। হেয়ার স্ট্রেট থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪এ (গাফিলতি), ১১জে এবং ১১এল ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, পরোক্ষভাবে রেলের দিকে আঙ্গুল তুলে মামলা দায়ের করেছে তারা। কারণ বিল্ডিংয়ের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিকে বহুতলের বাইরে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, এই বহুতল রেলের মালিকানাধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *