কলকাতা: বাংলার নির্বাচনী ভোটযুদ্ধ শুরু হতে তখনো বেশ কিছুটা সময় বাকি। বিহারে ‘অসামান্য’ ফল করে আসাউদ্দিন ওয়েইসির দল হুংকার দিয়েছিল বাংলায় ভোট ময়দানে লড়াই করার। সেইমতো পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকের সঙ্গে এসে বৈঠক পর্যন্ত করেন ওয়েইসি। কিন্তু অতটুকুই। আর হাতে গোনা কয়েক দিন পরেই বাংলায় ভোট। কিন্তু এই উত্তাপের আবহে রাজ্যে দেখা যায়নি আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মিমকে। প্রচন্ড দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাঁর দলও।
নতুন বছরের শুরুতেই অনেকটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে এবারের ভোট ময়দানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নামতে চলেছেন আসাউদ্দিন ওয়েইসি। মনে করা হচ্ছিল মূলত বিজেপিকে ফায়দা দেওয়ার জন্য এবং সংখ্যালঘু ভোট ভাগ বসানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত তাঁর। পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করার পর রাজনৈতিক উত্তাপ আরো বেড়েছিল বাংলায়। কিন্তু তারপর থেকে যেন গায়েবই হয়ে গিয়েছেন তিনি। একে একে দলের বেশ কয়েকজন নেতা দল ছেড়েছেন। কেউ আবার যোগ দিয়েছেন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসেই। কিছুদিন আগে কলকাতায় সভা করার কথা থাকলেও প্রশাসন অনুমতি দেয়নি বলে সেই সভা করেনি মিম। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আদেও বাংলার ভোট ময়দানে তাদের দেখা যাবে কিনা। শেষ পাওয়া খবরে অনুযায়ী, রাজ্যের একটি জেলায় লড়তে পারে মিম, সেটি হল মুর্শিদাবাদে, তাও ১৩ টি আসনে। কিন্তু সেটাও কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ভোট উত্তাপে ফুটছে বাংলা! কার দখলে কটি আসন? জানিয়ে দিল সি ভোটার সমীক্ষা
হায়দরাবাদের এই দলকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে একাধিকবার বিজেপির বি টিম বলে কটাক্ষ করেছেন। সেই প্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছিল বাংলায় ভোট ময়দানে লড়তে এসে আসাউদ্দিন ওয়েসি আদতে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। যাতে প্রত্যক্ষভাবে সুবিধা পেতে পারে বিজেপি। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ের একাধিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেও এখন মিমের কোন পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না বাংলায়।