কলকাতা: বঙ্গবাসীর ঘাড়ে এসে নিঃশ্বাস ফেলছে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। নবান্নের ওই নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে এবার যেভাবে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছে সবকটি রাজনৈতিক দল, তাতে আগামী ২ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ভাগ্য নিয়ে উঠে আসছে একাধিক সম্ভাবনার ছবি। প্রাক-নির্বাচনী এই উত্তাপকে উস্কেই এদিন প্রকাশিত হল জনপ্রিয় সংবাদসংস্থা এবিপি আনন্দের সি ভোটার সমীক্ষা।
আরও পড়ুন- বাংলায় কেমন কাজ করেছেন মোদী-মমতা? দেখুন সি ভোটার সমীক্ষার পর্যবেক্ষণ
একুশের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসবে কে? কার দখলে যাবে একুশের বাংলা? নানান প্রশ্নের ঝুলি নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে প্রায় ১৯৩১৪ জন ভোটারের দরবারে হাজির হয়েছিলেন সমীক্ষকরা। নিরপেক্ষতার সঙ্গে পর্যালোচিত এই ভোট পূর্ববর্তী সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। মে মাসে ভোটের ফলাফল কী হবে তা জানা যাবে সেদিনই। তবে তার আগে সি ভোটার সমীক্ষার এই পর্যালোচনা নিঃসন্দেহে জমিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক উন্মাদনা।
রাজ্যে এবার ১৫০ থেকে ১৬৬টি আসনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস, এমনটাই বলছে সি ভোটার সমীক্ষার তথ্য। এছাড়া সমীক্ষা অনুযায়ী ৯৮ থেকে ১১৪টি আসন যেতে পারে বিজেপির দখলে। পিছিয়ে নেই ত্রয়ী জোটশক্তিও। সমীক্ষা বলছে এবারের বিধানসভায় অন্তত ২৩ থেকে ৩১টি আসন যাচ্ছে সংযুক্ত মোর্চার দখলে। অন্যান্যরা পেতে পারেন ৩-৫টি আসন। শতাংশের হিসেবে ঘাসফুল শিবিরের পক্ষে এবার ভোট যেতে পারে ৪৩%। এছাড়া, গেরুয়া বাহিনী ৩৮% এবং জোটবদ্ধ বাম কংগ্রেস আইএসএফের সংযুক্ত মোর্চা ১৩% ভোট পেতে পারে বলেই জানাচ্ছে এবিপি আনন্দের সাম্প্রতিক সি ভোটার সমীক্ষা।
আরও পড়ুন- “খুব শীঘ্রই প্রার্থী হবো”, ঘোষণা করে আগাম আশীর্বাদ চাইলেন শ্রাবন্তী
নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে সি ভোটার সমীক্ষার এই ফলাফল নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তবে এই ধরণের সমীক্ষা কেবলমাত্র ভোটের হাওয়া কোনদিকে কতটা তা আন্দাজ করতেই সাহায্য করে। বাস্তবে এই সমীক্ষার পর্যবেক্ষণ ১০০% বদলে যাওয়ার ঘটনাও একেবারে নজিরবিহীন নয়।