নয়াদিল্লি: বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছেন নীতীশ কুমার। আবার। হ্যাঁ, এই প্রথম যে তিনি বিজেপিকে আঘাত দিলেন এমনটা নয়। এর আগেও গেরুয়া শিবিরে থেকে তার সঙ্গ ছেড়েছেন নীতীশ। তবে এই সর্বশেষ ‘ডিগবাজি’র কারণ খুঁজতে গেলে যেতে হবে এপ্রিল মাসে। তখন থেকেই হয়তো আজকের এই সিদ্ধান্ত সূত্রপাত হয়ে গিয়েছিল। আরজেডির রাবড়ি দেবীর বাড়িতে ইফতার পার্টিতে যান নীতীশ কুমার। তখন থেকেই গুঞ্জন ছিল তিনি বিজেপির সঙ্গ ছাড়তে পারেন। আর তাইই হল। এবার জেনে নেওয়া যাক নীতীশের ‘ডিগবাজি’র কিছু ঘটনার কথা।
আরও পড়ুন- BJP-র সঙ্গে জোট ভেঙে ইস্তফা দিলেন নীতীশ, মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ছুটলেন লালুর বাড়িতে
১৯৮৯: জনতা দলের শুরুর দিকে বিহার বিধানসভায় নীতীশ কুমার বিরোধী দলনেতা হিসেবে লালু প্রসাদ যাদবকে সমর্থন করেন।
১৯৯৪: লালুর সঙ্গ ছেড়ে নীতীশ কুমার জর্জ ফারনান্ডেসের সঙ্গ দেন, সমতা পার্টিতে।
১৯৯৬: বিজেপি সঙ্গে হাত মিলিয়ে নীতীশ কুমার অটল বিহারি বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হন। সেই সময় জনতা দল প্রেসিডেন্ট শরদ যাদবের সঙ্গে লালুর সম্পর্ক ভাঙে এবং তিনি আরজেডি গঠন করেন।
২০০৩: জনতা দলের সঙ্গে সমতা পার্টি এক হয়ে যায় এবং বিজেপি সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েই থাকে। এদিকে জেডিইউ গঠিত হয় যার মুখ হল নীতীশ কুমার।
২০০৫: কুমারের দল বিজেপির সঙ্গে শরিক হয়ে এনডিএ সদস্য হয়ে আবার ক্ষমতায় আসে।
২০১০: বিজেপি সঙ্গী হয়ে নীতীশ কুমার আবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন।
২০১৩: এরপর ১৭ বছর ধরে বিজেপির সঙ্গে থাকা নীতীশ কুমারের দল বেরিয়ে আসে এনডিএ থেকে। বিহারে সরকার গঠন করে আরজেডির সঙ্গে। কংগ্রেসের সমর্থনে আস্থাভোটে জয়ী হন তিনি। কিন্তু এক বছরের মধ্যে ২০১৪ সালের মে মাসে লোকসভা ভোটে ৪০-এ ২ টি আসন জিতে দলের বিপর্যয়ের দায় নিয়ে দায়িত্ব থেকে সরে আসেন। এরপর ২০১৫ আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জেডিইউয়ের সমঝোতা করে মহাজোট গঠিত হয়। আবার মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি।
২০১৭: জেডিইউ, আরজেডি এবং কংগ্রেসের মহাজোট বিধানসভা নির্বাচন জেতে কিন্তু বছর দুয়েকের মধ্যেই সরকার পড়ে যায়। এই সময়ই লালু পুত্র তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। নীতীশ জোট ভেঙে দেন তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপির সমর্থনে আবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যান তিনি।
২০২২: আবার বিজেপির সঙ্গ ছাড়লেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার৷ রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন৷ ইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে নীতীশ বলেন, ‘‘দলের সব সাংসদ এবং বিধায়করা এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত।’’