করোনা আতঙ্কে কাবু, নিজ ইচ্ছায় ৩ বছর ঘরবন্দি মহিলা, সঙ্গে ছেলে

করোনা আতঙ্কে কাবু, নিজ ইচ্ছায় ৩ বছর ঘরবন্দি মহিলা, সঙ্গে ছেলে

গুরুগ্রাম: করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক কার ছিল না? কিন্তু তা বলে ৩ বছর ঘরবন্দি হয়ে থাকা, এও কি সম্ভব? হ্যাঁ, এমন ঘটনাই ঘটেছে। কোভিড ভীতির কারণে ছেলেকে নিয়ে দীর্ঘ ৩ বছর ঘরেই কার্যত নিজেকে বন্দি করে রেখেছিলেন এক মহিলা। এমনকি নিজের স্বামী কাজের জন্য বাড়ির বাইরে গেলে তাকেও আর বাড়িতে ঢুকতে দেননি তিনি! শেষে পুলিশের সাহায্য নিয়ে ঘরবন্দি স্ত্রী এবং ছেলেকে উদ্ধার করতে হল ব্যক্তিকে। সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে গুরুগ্রামে। 

আরও পড়ুন- ছেড়েছিলেন বিদেশের কাজ, অম্বানী-পুত্রবধূ কিন্তু পরিবারেরও গর্ব, চেনেন কৃশাকে?

জানা গিয়েছে, করোনা সঙ্ক্রমণ যখন বাড়তে শুরু করেছিল সেই সময় থেকেই নিজেকে ঘরবন্দি রেখেছিলেন এই মহিলা। লকডাউনের সময়ে এটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে দেশের পরিস্থিতি আগের মতো হয়, আক্রান্তের সংখ্যাও কমতে শুরু করে। সকলে আবার আগের মতো কাজের জন্য বাড়ির বাইরে বেরতে শুরু করে। কিন্তু এই মহিলার কাছে কোনও পরিস্থিতি বদলায়নি। তিনি তাঁর ছেলেকে নিয়ে ঘরেই থাকতেন, বেরতেন না একদমই। এমনকি তাঁর স্বামী যখন অফিসে যাওয়া শুরু করেন তার পর থেকে আর বাড়ি ঢোকার অধিকার তাঁর ছিল না। প্রথম দিকে তিনি বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়দের বাড়িতে থাকতেন। এরপর তিনি স্থানীয় এলাকাতেই ভাড়া বাড়িতে থাকা শুরু করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে বারবার বোঝানো সত্ত্বেও যখন তিনি মানেননি তখনই ওই ব্যক্তি থানার দ্বারস্থ হন। যদিও শুরুতে পুলিশ ভেবেছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। কিন্তু পরে বোঝা যায় বিষয়টি অন্য। অনুমান করা হয়, মহিলার মানসিক কোনও সমস্যা হয়েছে। কারণ তিনি পরিবারের বাকি সকলের সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কাউকেই বাড়িতে আসতে দিতেন না। ছেলে অনলাইন ক্লাস করত তাই সমস্যা হয়নি। এদিকে বাড়ির সমস্ত বিল মেটাতে হত মহিলার স্বামীকেই। অবশেষে পুলিশ টিম, স্বাস্থ্য দফতরের টিম, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের টিম গিয়ে ওই মহিলা এবং তাঁর ছেলেকে উদ্ধার করেছে। বাড়ির প্রধান দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকতে হয়েছে তাঁদের। আপাতত দুজনেই হাসপাতালে ভর্তি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + 19 =