Aajbikel

ছেড়েছিলেন বিদেশের কাজ, অম্বানী-পুত্রবধূ কিন্তু পরিবারেরও গর্ব, চেনেন কৃশাকে?

 | 
কৃশা আম্বানী

মুম্বই: দিন কয়েক আগেই ধুমধাম করে আংটিবদল করেছেন মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত আম্বানী৷ সেজে উঠেছিল ‘অ্যান্টেলিয়া’। এর ঠিক এক মাসের মাথায় আবারও উৎসবের মেজাজে আম্বানীর অন্দরমহল। এবার মুকেশের ভাই অনিল আম্বানীর পুত্র জয় অন্মোল আম্বানী এবং কৃশা শাহের প্রথম বিবাহবার্ষিকীর আয়োজন।

আরও পড়ুন- কেঁপে উঠল দিল্লিসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চল, কম্পন নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক


অনিলের স্ত্রী টিনা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে অনিল, টিনার সঙ্গে জয় এবং কৃশাকে দেখা গিয়েছে৷ ওই ছবিটি পোস্ট করে জয় এবং কৃশাকে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী। টিনা লিখেছেন, ‘‘আমাদের পরিবারকে তুমি আলোকিত করেছ।’’ সমাজমাধ্যমে এই ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই অম্বানীর পুত্রবধূকে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয় নেটাগরিকদের মধ্যে। কে এই কৃশা? তাঁর পরিচয় জানতে উৎসাহী অনেকেই। 

কৃশা


২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি অনিলপুত্রের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন কৃশা। কৃশার বাবা ছিলেন ‘নিকুঞ্জ এন্টারপ্রাইজ়েস’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর৷ এ ছাড়াও ‘এসভিএস অ্যাকোয়া টেকনোলজি’ নামে একটি সংস্থার ডিরেক্টর পদেও নিযুক্ত ছিলেন তিনি। কৃশার মা পেশায় পোশাকশিল্পী। কেউ কেউ মনে করছেন, পরিবারিক সূত্রেই আলাপ হয়েছিল জয় এবং কৃশার। কিন্তু সেই পরিবারকে আড়ালে রেখেই একে অপরকে ডেট করতে শুরু করেন জয় এবং কৃশা। সেখান থেকেই সম্পর্ক গভীর হয় তাঁদের। ইতিমধ্যে ২০২১ সালে মারা যান কৃশার বাবা। ওই বছরই ডিসেম্বর মাসে কৃশার সঙ্গে বাগদান সেরে ফেলেন জয়৷ বাগ্‌দান পর্বের প্রায় দু’মাসের মধ্যেই বিয়ে করে নেন তাঁরা।

দুই ভাইবোনের সঙ্গে মুম্বইয়েই বেড়ে ওঠা কৃশার৷ পরে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দেন। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে রাজনৈতিক অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেন তিনি৷ এর পর লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স থেকে সমাজনীতি এবং উন্নয়ন নিয়ে পড়াশোনা করেন আম্বানী-পুত্রবধূ। পাশাপাশি  সমাজসেবার সঙ্গেও প্রতিনিয়ত যুক্ত ছিলেন তিনি।

 

কৃশা

ব্রিটেনে একটি বেসরকারি সংস্থায় দীর্ঘ দিন কর্মরত ছিলেন কৃশা। পরে সেই কাজ ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন৷ দেশে ফিরে ‘ডিস্কো’ নামে নিজস্ব সংস্থা গড়ে তোলেন। কৃশার কথায়, শুধু ভারতেই নয়, আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যবসায়ীদের অনলাইন এবং অফলাইন মাধ্যমে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে তাঁর সংস্থা।
 

নিজস্ব সংস্থা তৈরির পাশাপাশি ইশা কাজ মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও৷ অতিমারির সময় কোন কোন ধরনের মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, তা নিয়ে প্রচার করেছিলেন জয় আম্বানীর স্ত্রী৷ কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেই পঠন্দ করেন তিনি৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ সক্রিয় নন৷ ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগী সংখ্যাও বিশেষ উল্লেখযোগ্য নয়৷ 


 

Around The Web

Trending News

You May like