Aajbikel

কেঁপে উঠল দিল্লিসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চল, কম্পন নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক

 | 
ভূমিকম্প

নয়াদিল্লি: শেষ কয়েক মাসে দেশের একাধিক জায়গায় ভূমিকম্প হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে শুরু করে রাজধানী দিল্লি, অরুণাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কোনও জায়গা বাকি নেই। এবার আরও একবার কম্পন অনুভূত হল রাজধানী দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায়। আর রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪। ন্যাশেনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানাচ্ছে, বুধবারের এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপাল। তারা আরও জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানার বিস্তীর্ণ এলাকাতেও ফের একবার কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির বা মৃত্যুর কোনও খবর আসেনি যা স্বস্তি দিচ্ছে।

আরও পড়ুন- GST বাবদ পাওনা অর্থ মেটানো হবে! সুখবর দিলেন অর্থমন্ত্রী

খেয়াল করলে দেখা যাবে, উপরিউক্ত জায়গাগুলি বাদ দিয়ে আরও একাধিক জায়গায় শেষ কয়েক সপ্তাহে ভূমিকম্প হয়েছে। যেমন সিকিম, মেঘালয়, ভুটান। বাদ যায়নি দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলও। উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের ঘটনার পর থেকে ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্ক আরও দ্বিগুণ বেড়েছে মানুষের মধ্যে তা বলাই যায়। কিন্তু এত ঘনঘন ভুমিকম্প হচ্ছেই বা কেন? স্বাভাবিকভাবে এই প্রশ্ন জেগেছে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে। ভূবিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদরা বলছেন, গোটা হিমালয়ের ভূস্তর ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে৷ এর ফলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের পরেও আফটার শক অনুভূত হচ্ছে।ভূবিজ্ঞানীরা আরও জানাচ্ছেন, হিমালয় অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ ইন্ডিয়ান প্লেট এবং ইউরেশীয় প্লেটের মধ্যে রেষারেষির জেরেই এই অঞ্চলটি অতি মাত্রায় ভূমিকম্পপ্রবণ হয়ে উঠেছে।

সম্প্রতি তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভুমিকম্পের যে চিত্র ধরা পড়েছে তাতে শিহরিত সকলেই। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং আহতের সংখ্যা ৫০ হাজার। এখনও ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। তাই লাগাতার এই ছোট ছোট কম্পনে ভীতি বাড়ছে দেশের মানুষের মধ্যেও। যদিও বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভূস্তরের ভেতরে ছোট ছোট কম্পনই বাঁচিয়ে দিচ্ছে ভারতকে৷ তাদের দাবি, ভূঅভ্যন্তরে সৃষ্ট চাপ যদি মৃদু মৃদু কম্পনের আকারে বাইরে বেরিয়ে যায়, তাহলে পরবর্তী পর্যায়ে  ধ্বংসাত্মক কম্পনের সম্ভাবনা থাকে না।

Around The Web

Trending News

You May like