জন্ম থেকেই নেই ২টি হাত, প্রতিকূলতাকে হারিয়ে আজ গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে জিলুমল

জন্ম থেকেই নেই ২টি হাত, প্রতিকূলতাকে হারিয়ে আজ গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে জিলুমল

 

তিরুবনন্তপুরম: জীবন তাঁর কাছে কোনও দিনই সহজ ছিল না৷ জন্ম থেকেই এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তিনি৷ থ্যালিডোমাইড সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ায় জুলিমল মেরিয়েট থমাসের জন্ম থেকেই দুটি হাত নেই৷ একটু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পথ চলার এক কঠিন লড়াই৷ নিত্যদিনের কাজটুকু করতে গিয়েও প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হয়েছে তাঁকে৷ কিন্তু জিলুমল হার মানার পাত্রী নন৷ নিজের অক্ষমতাকেই করে তুলেছেন তাঁর শক্তি৷ অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে করেছেন স্বপ্নপূরণ৷ 

আরও পড়ুন- তারকা প্রচারকের তকমা হারালেন কমল নাথ, অস্বস্তিতে কংগ্রেস

এই অপূর্ণতা সত্ত্বেও জিলুমল জয়ী৷ তিনি শুধু নিজের কাজ নিজে করতেই সক্ষম নন, অবলীলায় স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে ছোটাচ্ছেন গাড়ি৷ শুধুমাত্র পা দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করছেন গাড়ির গতিবিধি৷ তাঁর জীবন আজ বহু মানুষের কাছেই অনুপ্রেরণা৷ জিলুমল জানান “ছোট থেকেই গাড়ি চালানোর তাঁর স্বপ্ন৷ কারিমানুর পথ বেয়ে ছুবে তাঁর নিজের গাড়ি, এই স্বপ্নটাই তো দেখে এসেছেন তিনি৷ তাঁর কথায়, কিছু মানুষ আছেন যাঁরা  নিজেদের অপূর্ণতা নিয়ে বিলাপ করেন৷ আবার কেউ কেউ আছেন যাঁরা ভয়কে কাটিয়ে উঠে এগিয়ে যেতে জানে৷ আমি দ্বিতীয় পথটা বেছে নিয়েছি৷’’ 

২০১৪ সালের কথা৷ থোডুপূজার আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসারের (আরটিও) সঙ্গে দেখা করেন জিলুমল৷  আর্জি জানান, তাঁকে যেন ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়৷ এই কথা ষুনে আরটিও অফিসার বলেন, এর জন্য প্রথমে তাঁকে এমন এক ব্যক্তির ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি জমা দিতে হবে, যাঁর হাত নেই৷ কিন্তু জুলিমল পিছিয়ে শেখেননি৷ শুরু হয় তাঁর অনুসন্ধান পর্ব৷ খুঁজতে খুঁজতেই তিনি হদিশ পান বিক্রম অগ্নিহোত্রির৷ তিনিই দেশের প্রথম ব্যক্তি, যাঁর হাত না থাকা সত্ত্বেও ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- ফাঁস হবে না কোনও তথ্য! দেশের সুরক্ষায় নয়া অ্যাপ ভারতীয় সেনার

২০১৮ সালে নিজের গাড়ি কেনেন জিলুমল৷ তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যই ড্রাইভিং জানেন না৷ কিন্তু জিলুমল চেষ্টা চালিয়ে যান৷ এর্নাকুলাম ওয়াইডব্লিউসিএ-র কমপাউন্ডের মধ্যেই শুরু হয় তাঁর গাড়ি চালানো৷ এখন তিনি রীতিমতো পাকা চালক৷ শুধু গাড়ি চালানোই নয়, ভিয়ানি প্রিন্টিং-এর গ্রাফিক্স ডিজাইনারও ২৮ বছরের জিলুমল৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 4 =