নয়াদিল্লি: ইঙ্গিত অনেক আগে থেকেই মিলেছে যে পরবর্তী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে। তার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও একাধিক রিপোর্ট দাবি করেছে। করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর যখন ভারতবাসী আরো একটি ঢেউয়ের আতঙ্কে আতঙ্কিত, ঠিক তখনই আশার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দাবি করা হচ্ছে, ভারতে সম্ভবত অতিমারির দিন শেষ হয়ে এসেছে। অর্থাৎ এতদিন ধরে যে ‘প্যান্ডেমিক’ চলছিল সেটি এখন পৌঁছে গিয়েছে ‘এন্ডেমিক’-এর জায়গায়।
আরও পড়ুন- উদ্ধবকে ‘জোরে থাপ্পড়’ মারতে চেয়েছিলেন, গ্রেফতার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌমা স্বামীনাথন জানাচ্ছেন, ভারতে এখন করোনাভাইরাস এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে মনে করা হচ্ছে পরিস্থিতি এখন অতিমারি পর্যায়ে নেই। অর্থাৎ ভারত এখন অতিমারি কাটিয়ে তুলনামূলক নিয়ন্ত্রিত জায়গায় পৌঁছচ্ছে। আসলে যে সময়ে মানুষ ভাইরাস কে সঙ্গে নিয়ে বাঁচতে শিখে যায় এবং ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই জীবন কাটায় সেই পর্যায় কে বলা হয় ‘এন্ডেমিক।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি ভারত এখন এমন পর্যায়ে রয়েছে। তাদের বক্তব্য, ভারতে এখন সংক্রমণ কম বা মাঝারি প্রভাব ফেলছে, আগের মত চরম প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। পরবর্তী ক্ষেত্রেও আগের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে না বলেই অনুমান করছে তারা। যদিও করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউয়ে দৈনিক ৪ থেকে ৫ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন বলে একাধিক গবেষণা দাবি করেছে। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি মেনে নিলেও অল্পবিস্তর আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে সাধারণ মানুষের।
আরও পড়ুন- কবে ভ্যাকসিন পাবে শিশু-কিশোররা? স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র
যদিও এই পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আরও বলা হচ্ছে যে, ভারতে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের মানুষ বাস করেন তাই তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বিভিন্ন ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে অথবা ওঠানামা করছে। সে ক্ষেত্রে দেশের যে সমস্ত জায়গায় প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব কম ছিল সেখানে এখন তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব বাড়তে পারে। তাই টিকাকরণের জোর দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলেই দাবি করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এও মনে করা হচ্ছে যে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে পরিস্থিতি আগের মতো হলেও হতে পারে। অর্থাৎ করোনাভাইরাস আতঙ্ক পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারবে মানুষ।