‘‘প্রিয়াঙ্কা-সালামতকে আমরা হিন্দু-মুসলিম হিসাবে দেখি না’’, ঐতিহাসিক রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের

‘‘প্রিয়াঙ্কা-সালামতকে আমরা হিন্দু-মুসলিম হিসাবে দেখি না’’, ঐতিহাসিক রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের

এলাহাবাদ:  সম্প্রতি দেশের অন্দরে ‘লাভ জিহাদ’ শব্দটি খুব বেশি করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে৷ বিয়ের জন্য ধর্মান্তরকরণকে লাভ জিহাদ বলেই আখ্যা দেওয়া হচ্ছে৷ এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল গত বছর৷ এক মুসলিম যুবককে বিয়ে করার জন্য ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন এক তরুণী৷ ওই মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ওই তরুণীর পরিবারের লোকজন৷ মামলা য়ায় আদালতে৷ ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কের মাঝেই মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সময় এক ঐতিহাসিক রায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট৷ আদালত জানায়, ‘‘ব্যক্তিগত সম্পর্কে হস্তক্ষেপ করার অর্থ দু’ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের  ব্যক্তি স্বাধীনতার  সীমা লঙ্ঘন করা৷’’ 

আরও পড়ুন- ১ ডিসেম্বর থেকে ফের বন্ধ হবে রেল পরিষেবা? কী বলছে রেল

এদিন এলাহাবাদ হাইকোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ জানায়, ‘‘আমরা প্রিয়াঙ্কা খারওয়ার এবং সালত আনসারিকে হিন্দু এবং মুসলিম বলে দেখছি না৷ বরং তাঁদের প্রাপ্ত বয়স্ক হিসাবেই দেখছি৷ তাঁরা তাঁদের ইচ্ছা এবং পছন্দ মতো একে অপরের সঙ্গে শান্তিতে সংসার করছে৷ ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী যে কোনও ব্যক্তি স্বাধীনভাবে নিজের পছন্দের ব্যক্তির সঙ্গে থাকতে পারেন৷’’ 

আরও পড়েনি- প্রয়াত অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ

উল্লেখ্য, গত বছর আগস্টে উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরের বাসিন্দা সালামত আনসারিকে বিয়ে করেন প্রিয়ঙ্কা খারওয়ার। এই বিয়েতে প্রিয়ঙ্কার পরিবারের একেবারেই মত ছিল না।  বিয়ের জন্য নিজের ধর্ম পরিবর্তন করার সঙ্গে সঙ্গে নাম পরিবর্তন করে ‘আলিয়া’ নাম রাখেন তিনি। তাঁদের বিয়ের পরেই ওই যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে প্রিয়ঙ্কার পরিবার৷ তাঁর পরিবারের অভিযোগ, প্রিয়াঙ্কাকে অপহরণ করে বিয়ে করেছে সালামত৷ এই এফআইআর খারিজ করার দাবিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টে তিনি৷ এই এফআইআর বাতিল করে দেন বিচারপতি বিবেক অগ্রবাল এবং বিচারপতি পঙ্কজ নাকভির ডিভিশন বেঞ্চ৷ আদালত জানায়, তাঁরা নিজেদের ইচ্ছায় ঘর বেঁধেছে ও শান্তিতে রয়েছে৷ এখানে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 11 =