আগরতলা: বাংলা বিধানসভা ভোটে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম। সম্মুখ সমরে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। যে নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে মোদী-শাহ বধের হুঙ্কার দিয়েছিলেন মমতা, সেই নন্দীগ্রাম অবশ্য তাঁকে খালি হাতে ফিরিয়েছে। সামান্য কিছু ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি। কিন্তু এবার ফের লড়াই হবে নন্দীগ্রামে। তবে তা বাংলায় নয়, এই নন্দীগ্রাম রয়েছে ত্রিপুরায়।
আরও পড়ুন- ‘প্রতিভাবান’, ‘ভবিষ্যৎ আছে’! এই যুক্তি দিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্তকে জামিন দিল আদালত
বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলের পাখির চোখ এখন ত্রিপুরা৷ বাংলার সঙ্গে ভাষাগত, ঐতিহ্যগত বহু মিল রয়েছে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যের৷ অনেকে তো আবার ত্রিপুরাকে বাংলার অলিখিত উপনিবেশও বলে থাকেন৷ তবে বাংলার সঙ্গে এমন একটা জায়গার মিল রয়েছে ত্রিপুরার, যা মিলিয়ে দিয়েছে দুই রাজ্যের রানীতিকেও৷ আর সেটা হল নন্দীগ্রাম৷ ত্রিপুরার দক্ষিণে সাব্রুমে রয়েছে এই নন্দীগ্রাম। ত্রিপুরার অখ্যাত এই নন্দীগ্রামকেই এবার রাজনীতির লাইম লাইটে নিয়ে আসতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল৷ জানা গিয়েছে, শীঘ্রই ত্রিপুরায় পা রাখবেন দলের শীর্ষ নেতারা৷ আর সাব্রুমের নন্দীগ্রামকে সামনে রেখে বিজেপি’র বিরুদ্ধে রণহুঙ্কার ছাড়তে চলেছে বাংলার শাসক দল৷
আরও পড়ুন – অনেকটাই কমে গেল দেশের দৈনিক সংক্রমণ! একদিনে সুস্থ প্রায় ৪৪ হাজার
সেপ্টেম্বরেই ফের ত্রিপুরা যাবেন তৃণমূলের নেতারা৷ সেই সময় তাঁদের সাব্রুমের নন্দীগ্রামে নিয়ে যেতে চান স্থানীয় নেতৃত্ব৷ নন্দীগ্রাম থেকেই জিতবে ত্রিপুরা৷ এই স্লোগানকে সামবে রেখে এগিয়ে যেতে চান তাঁরা৷ প্রসঙ্গত, ২০২১-এর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা স্লোগান তুলেছিলেন, ‘ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলবোনা গো নন্দীগ্রাম।’ এবার আরও এক নন্দীগ্রামে হবে ‘খেলা’৷ ত্রিপুরার নেতারা চান নন্দীগ্রামে পা রেখে আওয়াজ তুলুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷