আগরতলায় মিছিলের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে তৃণমূল, ‘BJP-র পা কাঁপছে’, কটাক্ষ কুণালের

আগরতলায় মিছিলের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে তৃণমূল, ‘BJP-র পা কাঁপছে’, কটাক্ষ কুণালের

আগরতলা: এবার ত্রিপুরা হাইকোর্টে তৃণমূল৷ সোমবার দুপুর ২টোয় তৃণমূলের আবেদনের জরুরি শুনানি রয়েছে৷ বুধবার আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলের পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের৷ সেই মিছিলের অনুমতি চেয়ে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস৷  

আরও পড়ুন-এক ধাক্কায় কমল দেশের সংক্রমণ, মৃত্যু, অ্যাকটিভ কেস! রেকর্ড টিকাকরণের জের

তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ দেব বলেন, ১১ তারিখ থেকে তিন-চারবার ত্রিপুরা পুলিশকে চিঠি পাঠিয়ে মিছিল করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল৷ সাম্প্রতিককালে সংবাদমাধ্যমের উপর যে বর্বরোচিত হামলা হয়েছে তার প্রতিবাদেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ত্রিপুরায় ১৫ সেপ্টেম্বর শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্সূচির আয়োজন করা হয়েছিল৷ তার জন্য পুলিশের কাছে চিঠি পাঠিয়ে অনুমতিও চাওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু ত্রিপুরা পুলিশ ও বিপ্লব দেবের সরকার সেই অনুমতি দেয়নি৷ এর পর ১৬ তারিখ অনুমতি চাওয়া হয়৷ কিন্তু বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন যথেচ্ছ ফোর্স থাকবে না এবং আইন-শৃঙ্খলার  ওজরে মিছিলে অনুমতি দেওয়া হয়নি৷

বিপ্লব দেব আরও বলেন, এর পর ফের ২২ তারিখ মিছিল করার অনুমতি চাওয়া হয়৷ ১৮ তারিখ ডিজিকে  রামাইন্ডারও দেওয়া হয়৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত ত্রিপুরা সরকার বা পুলিশের তরফে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি৷  তিনি বলেন, যদিও আইনে স্পষ্ট বলা আছে, এই ধরনের সমাবেশের জন্য আবেদন করা হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার উত্তর দিতে হবে৷ কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনও উত্তর আসেনি৷ 

আরও পড়ুন- নিলামে মোদীর ব্যবহৃত চাদর, জানেন কত দাম উঠল?

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে বিজেপি এ রাজ্য মিছিল করার অনুমতি না পেলেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়৷ তবে কি ত্রিপুরায় বিজেপি’র দেখানো পথে হাঁটছে তৃণমূল? এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘এ রাজ্যে বিজেপি অসংখ্যা মিছিল মিটিং করে৷ নির্দিষ্ট কোনও এলাকায় সমস্যা থাকলে সেটা আলাদা বিষয়৷ কিন্তু ত্রিপুরার বিষয়টা সম্পূর্ণটাই ব্যতিক্রম৷ ওঁরা কখনই সভা করতে দেবে না৷ অভিষেকের নাম শুনলেই ওঁদের পা কাঁপছে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মজাটা হল ১৫ তারিখ মিছিলের কথা শুনেই বিজেপি রেল ধর্মঘট ডেকে বসেছিল৷ যাতে দূর থেকে লোক আসতে না পারে৷ পরের দিন রেল ধর্মঘট উঠে গেল৷ ২২ তারিখ ফের রেল ধর্মঘট ডেকেছে৷ আমরা তো হাসছি৷ যে দিন আমাদের মিছিল সেদিনই রেল ধর্মঘট ডাকছে৷ এভাবে কি আর বেঁচে থাকা যায়? বিজেপি’র বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে৷’’  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *