‘২০২৪-এ বিজেপিকে আমরাই হারাব!’ দিল্লিতে দাঁড়িয়ে গর্জন অভিষেকের

‘২০২৪-এ বিজেপিকে আমরাই হারাব!’ দিল্লিতে দাঁড়িয়ে গর্জন অভিষেকের

নয়াদিল্লি: কয়লা পাচারকাণ্ডে দিল্লিতে ইডির দফতরে আজ সকালে হাজিরা দেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১১ টা নাগাদ সেখানে ঢোকেন তিনি, বেরোন রাত ৮ টা নাগাদ। টানা প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর যখন তিনি দফতর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন তখন হুঙ্কার দিয়ে বললেন, ২০২৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসই হারাবে বিজেপিকে! 

আরও পড়ুন- সংক্রমণ সামান্য কমলেও ঊর্ধ্বমুখী দেশের অ্যাকটিভ কেস! বাড়ছে চিন্তা

এদিন অভিষেক বলেন, তিনি প্রথমদিন থেকেই বলে আসছেন যে তার বিরুদ্ধে যদি বিজেপির কাছে কোন প্রমাণ থাকে তাহলে সেটা সবার সামনে আনুক তাহলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু এভাবে ধমকে এবং চমকে তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকানো যাবে না, এই ভাবে তাদের মাথা নিচু করানো যাবে না। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন যে, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করলেই হেনস্থা করা হচ্ছে। তবে তাঁর বক্তব্য, আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস হারাবে বিজেপিকে, যে সমস্ত রাজ্যের বিজেপি গণতন্ত্র হত্যা করেছে সেই সব রাজ্যে যাবে তৃণমূল, আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে তারাই হারাবেন। তাঁর কথায়, বিজেপি যত খুশি ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতর লাগিয়ে নিতে পারে, কিন্তু তাঁরা মাথা নিচু করবেন না। কারোর ক্ষমতা থাকলে তাঁদের আটকাক। তদন্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১০ পয়সার লেনদেন প্রমাণ করতে পারলে হাসিমুখে ফাঁসি মঞ্চে উঠে যাবেন! তবে তাঁর বক্তব্য, গোয়েন্দা আধিকারিকরা নিজেদের ডিউটি করেছেন এবং তারা তাঁকে যে যে ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছেন সব ব্যাপারে তিনি নিজের জ্ঞান অনুযায়ী উত্তর দিয়েছেন। তাদের তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন।

আরও পড়ুন- CID-র তলবে হাজিরায় ‘না’ শুভেন্দুর, আজ ভবানীভবনে যাচ্ছেন না বিরোধী দলনেতা

এদিন নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগেই ইডি-র দফতরে পৌঁছে যান তৃণমূল সাংসদ৷ ইডির তলবে দিল্লি যাওয়ার আগে রবিবার কলকাতায় দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেছিলেন, যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। সেইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে লড়াইয়ে ব্যর্থ হয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাধ্যমে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। এদিন ইডি-র দফতরে ঢোকার আগেও তাঁর গলায় শোনা যায় একই সুর৷ উল্লেখ্য, কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিষেক ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 5 =