নয়াদিল্লি: পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়ে উত্তাল রাজ্যসভা৷ বাদল অধিবেশনের তৃতীয় দিনেও উচ্চকক্ষ উত্তাল হয়ে ওঠে পেগাসাস ইস্যুতে৷ এদিন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব পেগাসাস নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিতে গেলেই শুরু হয় তুমুল হট্টোগোল৷ কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন৷
আরও পড়ুন- দৈনিক ভাস্করে আয়কর হানা! ‘গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ’ বলে মোদীকে একহাত মমতার
পেগাসাসের পাশাপাশি কৃষি বিল নিয়েও এদিন উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের দুই কক্ষ৷ সংসদের বাইরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ শুরু করেন কংগ্রেস ও বাম সাংসদরা৷ তবে সবচেয়ে বেশি নাটকীয় মুহূর্তের সাক্ষী থাকে রাজ্যসভা৷ কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব পেগাসাস স্পাইওয়্য়ারের মাধ্যমে নজরদারি নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার জন্য উঠতেই তাঁর হাত থেকে বিবৃতিপত্র কেড়ে নেন তৃণমূল সাংসদ ডাক্তার শান্তনু সেন৷ এই হই হট্টোগোলের মাঝেই বৈষ্ণব বলেন, ইজরায়েলি সফটওয়্যার পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন৷ তিনি জানান, ‘অতীতে সুপ্রিম কোর্ট-সহ সবপক্ষই এই ধরনের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে৷ এর কোনও তথ্যগত ভিত্তি নেই।’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যখন পেগাসাস নিয়ে এই বিবৃতি দিচ্ছিলেন সেই সময় তাঁর হাত থেকে বিবৃতিপত্র ছিনিয়ে নেন শান্তনু৷ যা নিয়ে বিজেপি সাংসদ হরদীপ সিং পুরীর সঙ্গে তুমুল বচসা বাধে তাঁর৷ পরিস্থিতি এতটাই অস্থির হয়ে ওঠে যে সভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়৷ এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে যান সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়৷ তবে বিজেপির সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘ বিবৃতি দেওয়ার সময় তৃণমূল সাংসদ-সহ বিরোধী সদস্যরা নিজেদের জায়গা থেকে উঠে পড়েন। তারপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলে দেন। এই ধরনের আচরণ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।’’
আরও পড়ুন- অনেকটাই কমে গেল দেশের দৈনিক মৃত্যু, সংক্রমণে বাড়ছে ভয়
শান্তনু সেনের এই আরণের তীব্র বিরোধিতা করে বিজেপি৷ বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মিনাক্ষী লেখি বলেন, ‘গণতন্ত্র এই ধরণের আচরণ আগে কখনও দেখেনি।’ আবার বিজেপি সাংসদ মহেশ পোদ্দার বলেন, ‘‘বাংলায় যদি বিরোধীদের হত্যা করতে পারে, মহিলাদের অসম্মান করতে পারে, তাহলে তারা সব কিছুই করতে পারে। আজ ওঁরা কাগজ ছিঁড়েছে, আগামীকাল যদি জামাকাপড় ছিঁড়ে দেয় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।’’