নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গুরু দায়িত্ব সঁপা হয়েছে তাঁর কাঁধে৷ নিযুক্ত হয়েছেন পিএমও-র অ্যাপয়েন্টমেন্টস কমিটিতে৷ নিজের দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের জন্য বারবার প্রশংসিত হয়েছেন তিনি৷ তাঁর কাজ করার ধরণ নজর কেড়েছে উপর মহলের৷ স্বাভাবিক ছন্দ ভেঙেই মানুষের কথা ভেবেছেন উত্তরাখণ্ডের এই আইএএস অফিসার৷ মানুষের জন্য নিঃশর্ত ভাবেই কাজ করে গিয়েছেন মঙ্গেশ গিল্ডিয়াল৷
আরও পড়ুন- সিরামকে অক্সফোর্ডের করোনা টিকা ট্রায়ালে অনুমতি দিল কেন্দ্রীয় সংস্থা
২০১২ সালের উত্তরাখণ্ড ক্যাডারের আইএএস অফিসার মঙ্গেশ৷ দায়িত্ব সামলেছেন রুদ্রপ্রয়াগের জেলাশাসক পদে৷ সেই সময় একদিন হঠাৎ করেই গভর্নমেন্ট গার্লস ইন্টার কলেজ পরিদর্শনে যান তিনি৷ সেখানে গিয়ে জানতে পারেন স্কুলে বিজ্ঞানের কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা নেই৷ এই বিষয়টি ঘুরপাক খেতে থাকে তাঁর মনে৷ স্কুল পরিদর্শন সেরে বাড়ি ফেরার পর সবটা জানান স্ত্রী উষা সুয়ালকে৷ এমনকী স্কুলে বিজ্ঞানের শিক্ষিকা না আসা পর্যন্ত তাঁকে ক্লাস কারানোর আর্জিও জানান মঙ্গেশ৷ স্বামীর কথায় রাজি হয়ে যান উষাও৷ মঙ্গেশের কথা শুনে স্কুলে বিজ্ঞানের ক্লাস নিতে শুরু করেন তিনি৷ তবে এর জন্য একটা টাকাও নেননি উষা৷ বিনা পারিশ্রমিকেই ছাত্রীদের পড়ান তিনি৷
আরও পড়ুন- পাকিস্তানের নতুন মানচিত্রে গোটা কাশ্মীর! প্রবল আপত্তি জানাল ভারত
ছদ্মবেশে বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শনের জন্যও বেশ পরিচিত মঙ্গেশ৷ তাঁর কাজ করার ধরণই সকলের থেকে আলাদা করে তুলেছে তাঁকে৷ এর জন্য মানুষের কাছে সমাদৃতও হয়েছেন৷ আর তাঁর যোগ্য সঙ্গী হয়ে উঠেছেন তাঁর স্ত্রী৷ ২০১৩ সালে উষার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন এই আইএএস অফিসার৷ উত্তরাখণ্ডের উন্নয়নের জন্য একাধিক কাজ করেছেন মঙ্গেশ গিল্ডিয়াল৷ আপাতত উত্তরাখণ্ড ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন দিল্লি৷ অনেক আবেগ বুকে নিয়েই উত্তরাখণ্ড ছাড়েন তিনি৷ একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দফতরের দায়িত্ব পেয়ে গর্বিত ও উচ্ছ্বসিত মঙ্গেশ৷ তাঁর কথায়, পিএমও-র দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের প্রতিও একইভাবে অনুগত থাকব৷