নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলল ভারত। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠক চলাকালীন ওই মানচিত্র পিছনে ঝুলিয়ে বৈঠকে বসে পাক কর্তৃপক্ষ। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল দাবি তোলেন পাকিস্তানের এই নতুন মানচিত্রে সার্বভৌম ভারতের বেশ কিছু অংশ অর্থাৎ ভারতীয় কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই পুরো বৈঠকটির উদ্যোক্তা সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে পাকিস্তানের পক্ষেই দাঁড়িয়েছে। ভারতের দাবির বিপক্ষে গিয়ে তাঁদের দাবি, ভারত মিথ্যে অভিযোগ করছে। পাকিস্তানের তরফে আরও একধাপ এগিয়ে দাবি করা হয়েছে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বিতর্কিত ভূখণ্ড হিসেবে পরিচিত কাশ্মীরকে ভারত কোনওভাবেই নিজের ভূখণ্ডের অন্তর্ভূক্ত বলে দাবি করতে পারে না।
এমনকি ভারতের কোনও ভূখণ্ড যে পাকিস্তানের নতুন ম্যাপে রয়েছে তা স্বীকারই করতে চায়নি ইসলামাবাদ। ভারতের বিপক্ষে বারবার কাশ্মিরী বিচ্ছন্নতাবাদকে উস্কানি দেওয়া পাক কর্তৃপক্ষের দাবি কাশ্মিরীদের অধিকার স্বপ্ন রক্ষার দায়িত্ব পাকিস্তানের। ভারতের বিরুদ্ধে এদিন রাষ্ট্রসঙ্ঘ ও রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের নির্দেশিকা ভঙ্গের মিথ্যা অভিযোগ তোলে পাকিস্তান।
সাংহাই কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানানোরও হুমকি এদিন দেওয়া হয়। তাদের দাবি রাষ্ট্রসঙ্ঘ ও রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের নির্দেশিকা মেনেই কাশ্মিরী অধিকার রক্ষায় সহায়তা করা হবে এবং কাশ্মিরের বিতর্ক মেটানোর চেষ্টা হবে। ভারতের তরফে বারবার দ্বিপাক্ষিক বিতর্ক দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে মেটানোর কথা বলা হলেও পাকিস্তান সেকথায় কোনওদিনও কর্ণপাত করেনি। ক্রমাগত এই বিষয়টিতে তৃতীয় পক্ষের যোগ টেনে এটিকে আরও জটিল করার চেষ্টা করেছে ইসলামাবাদ।
এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার নিরাপত্তা যত কড়া হয়ে উঠেছে ততই পাকিস্তানের তরফে অস্থিরতা বেড়েছে। বিভিন্নভাবে ভারত সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে কাশ্মীর প্রসঙ্গ বিশ্বের সামনে তুলে এনে সমস্যা বাড়ানোই পাক ক্রতৃপক্ষের উদ্দেশ্য বলে মনে করে কূটনৈতিক মহল। আর সেবিষয়ে সাংহাইয়ের তরফে প্রচ্ছন্নইন্ধনের ইঙ্গিত তো এদিন পাওয়াই গেল।