শ্রীনগর: প্রয়াত কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি৷ বুধবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিট নাগাদ শ্রীনগরে নিজ বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘পাকিস্তানপন্থী’ হুরিয়ত কনফারেন্সের এই নেতা৷ বয়স হয়েছিল ৯২ বছর৷ দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যার ভুগছিলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- একদিনে ১ কোটি ৩৩ লক্ষ! টিকায় নয়া রেকর্ড দেশের, সংক্রমণে চিন্তা
বৃহস্পতিবার সকাল ৪টে নাগাদ তাঁর বাড়ির সামনেই হায়দরপোড়ার করবস্থানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়৷ হুরিয়ত নেতা গিলানির মৃত্যুর পর যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য উপত্যকায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট সার্ভিস এবং প্রিপেড কনেকশনের পরিষেবা৷ শুধুমাত্র চালু রাখা হয়েছিল বিসসএনএল- পোস্ট পেড কানেকশন৷ শ্রীনগরের পুরনো শহর এলাকাতেও অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি৷ তিনি বলেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে মতপার্থক্য থাকলেও আমি তাঁকে সম্মান করি৷ তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি৷’’
আরও পড়ুন- আটকে পড়া ভারতীয়দের দ্রুত ফেরাতে হবে! আফগানিস্তান ইস্যুতে কড়া নির্দেশ মোদীর
১৯২৯ সালে বারামুলায় জন্ম হয় সৈয়দ আলি শাহ গিলানির। লাহোরের ওরিয়েন্টাল কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন। তার পর ধীরে ধীরে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন আসা তাঁর৷ তিনি বরাবরই পাকিস্তানের হয়ে কথা বলে এসেছেন৷ পাকিস্তানের হয়ে কাজ করার অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে৷ এবং এই কথাটা সর্বজিনবিদিত৷ পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গেও যোগ ছিল হুরিয়ত কনফারেন্সের৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি গৃহবন্দী ছিলেন৷ দলের অভ্যন্তরীণ কলহের জন্য ২০২০ সালে হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যানের পদ থেকেই ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি৷