নয়াদিল্লি: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও কি রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের প্রয়োজন আছে? কেন্দ্রের কাছে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট৷ এদিন শীর্ষ আদালত জানায়, এটি একটি ঔপনিবেশিক আইন৷ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দমন করতেই এই আইনের ব্যবহার করত ব্রিটিশরা। এক সময় মহত্মা গান্ধী, বালগঙ্গাধর তিলকের বিরুদ্ধেও এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর এই আইনের প্রয়োজনীয়তা কী? সেই প্রশ্নই এদিন তুলল শীর্ষ আদালত৷ পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধে ভাষণে এই আইনের অপপ্রয়োগ হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট৷
আরও পড়ুন- যোগী রাজ্যে ভোট যুদ্ধে প্রিয়াঙ্কাকেই চায় কংগ্রেস, টুইটারে ট্রেন্ডিং ‘দিদি আ রহি হ্যায়’
এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, যে ঔপনিবেশিক আইন মহত্মা গান্ধী, তিলকের মুখ বন্ধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর সেই রাষ্ট্রদ্রোহ আইন রাখার কী প্রয়োজন আছে? অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপালকে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি যেটা ভাবছি, সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছি৷ কেন্দ্রীয় সরকার অনেক পুরনো আইনই বাতিল করে দিয়েছে৷ তাহলে এই আইন বাতিল করা হচ্ছে না কেন? এই বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় রামানা আরও বলেন, ‘‘ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে এই আইনে দোষী সাব্যস্তের সংখ্যা খুবই কম৷ তবে বহু মানুষ এই আইনের অপব্যবহার করেছেন৷’’ বেঞ্চ এও বলে, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অপব্যবহারই আমাদের চিন্তার বিষয়৷
আরও পড়ুন- আসছে ভোট, বারাণসীকে ১৫০০ কোটির প্রকল্প উপহার, যোগীকে দরাজ সার্টিফিকেট মোদীর
এপ্রসঙ্গে আইটি আইনের ৬৬এ ধারার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে৷ এই আইন রদ করা হলেও এখনও এর প্রয়োগ হচ্ছে৷ তেমনই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে পুলিশ এই আইনের অপব্যবহার করতে পারে বলেও আশঙ্কা আদালতের৷ বিচারপতি বলেন, ‘‘এটি এমন একটি করাত যা একজন ছুতোরের হাতে পড়লে গোটা জঙ্গল কেটে ফেলবে৷’’ কোনও পুলিশ আধিকারিক কোনও ব্যক্তিকে ফাঁসাতে ১২৪ এ ধারা প্রয়োগ করতে পারে৷ জানা গিয়েছে, এক প্রাক্তন অফিসার এই মামলা দায়ের করেছিলেন৷ এই আইনের সাংবাদিক বৈধতা কতখানি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি৷