নয়াদিল্লি: বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে৷ শুক্রবার পেগাসাস নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বিবৃতি দেওয়ার সময় তাঁর হাত থেকে বিবৃতিপত্র ছিনিয়ে নিয়েছিলেন শান্তনু৷ এর পর সেটি ছিঁড়ে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহের আসনের দিকে ছুড়ে দেন। এই ঘটনার জেরেই শুক্রবার তাঁকে সাসপেন্ড করলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু৷ তাঁর বিরুদ্ধে ‘অগণতান্ত্রিক এবং অসংসদীয়’ আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত স্পাইওয়্যার বিরোধীদের উপর কেন? শাহের ইস্তফা দাবি রাহুলের
শুক্রবার সকালে রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গয়ালের সঙ্গে দেখা করেন বেঙ্কাইয়া নাইডু৷ ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখতার আব্বাস নাকভি এবং ভি মুরলিধরন৷ ওই বৈঠকেই শান্তনুর শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই শান্তনু শান্তি ঘোষণা করেন তিনি৷ এদিকে শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করার পরেই রাজ্যসভায় তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল সাংসদরা৷ পাল্টা অভিযোগ তুলে ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, গতকাল বিবৃতিপত্র ছেঁড়ার পর শান্তনুর দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী৷ তাঁর বিরুদ্ধে অসংসদীয় বাক্যও ব্যবহার করা হয়৷ তাহলে কেন তাঁকে শাস্তি দেওয়া হল না? এর পরেই মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন৷
আরও পড়ুন- বদ্রীনাথ মন্দিরে ইদের নামাজ! VHP, বজরং দলের অভিযোগে চরম উত্তেজনা
এদিন সকাল থেকেই পেগাসাস বিতর্কে উত্তাল ছিল সংসদের দুই কক্ষ৷ তার সঙ্গে উঠেছে কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবি৷ আজ শুরু থেকেই পেগাসাস নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করার উদ্যোগ নেয় তৃণমূল৷ কিন্তু গতকালের ঘটনার জেরে শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি৷