‘ফাঁসি নয়, যন্ত্রণাহীন মৃত্যুদণ্ডের পথ খুঁজুক কেন্দ্র’,নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

‘ফাঁসি নয়, যন্ত্রণাহীন মৃত্যুদণ্ডের পথ খুঁজুক কেন্দ্র’,নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ক্ষেত্রে ফাঁসির মতো নিষ্ঠুর ও যন্ত্রণাদায়ক সাজার বিকল্প চায় সুপ্রিম কোর্ট৷ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে ‘কম যন্ত্রণাদায়ক এবং মর্যাদাপূর্ণ’ পদ্ধতি বেঁচে নেওয়া হোক৷ কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিংহের বেঞ্চ বলে, ফাঁসির বদলে অন্য কোনও পদ্ধতি অনুসন্ধান করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হোক৷ ফাঁসির বদলে অন্য কোনও পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড দিলে কতটা কম যন্ত্রণার হবে, সেই বিষয়ে বিজ্ঞানসম্মত তথ্য চাইছে শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন- আধার-প্যান কার্ড লিঙ্ক বিনামূল্যে হোক, সময়সীমাও বাড়ুক, মোদীকে চিঠি অধীরের

সংশ্লিষ্ট মামলায় আইনজীবী ঋষি মালহোত্রা দাবি করেন,  ফাঁসি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক একটি মৃত্যু পদ্ধতি। দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় থাকার সময় কঠিন যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় মৃত্য পথযাত্রীকে। রাষ্ট্র সবটা জানার পর এই পদ্ধতি চালু রাখতে পারে না। 

এই মামলার শুনানিতে এদিন কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানি। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ তাঁকে বলে, ‘‘কাউকে ফাঁসিতে ঝোলানোর পর মৃত্যু পর্যন্ত তাঁকে যে অপরিসীম যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়,  সেটা খতিয়ে দেখা উচিত। প্রয়োজন ফাঁসির বিকল্প পথ খুঁজতে হবে।’’ ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পদ্ধতি ‘মর্যাদাপূর্ণ’ নয় বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প পথ খোঁজার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটিতে দিল্লি, বেঙ্গালুরু বা হায়দ্রাবাদের মতো অন্তত দু’টি জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ, দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)-এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, বৈজ্ঞানিক, মনোবিদ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের রাখার সুপারিশ করেছে শীর্ষ আদালত। শুনানি পর্বে অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে বেঞ্চের নির্দেশ, ‘‘আজকের বিজ্ঞানে কম যন্ত্রণাদায়ক এবং মর্যাদাপূর্ণ মৃত্যুর উন্নত পদ্ধতি রয়েছে কি না, তা খুঁজে বার করুন।’’

প্রসঙ্গত, অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত কিনা, তা নিয়ে শুধু ভারতে নয়, গোটা বিশ্বে বিতর্কে রয়েছে। ভারতেও এর আগে বহু বার মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়ার দাবি উঠেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ত্যুদণ্ডই বহাল রাখা হয়েছে৷