নয়াদিল্লি: গত এক মাস ধরেই সবজির বাজারে আগুন৷ আলু-পিঁয়াজ চলে যাচ্ছে নাগালের বাইরে৷ পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অন্যান্য সবজির দাম৷ শুধু বাংলা নয়, সারা দেশের ছবিই এক৷ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে৷ বহু মানুষ কর্মহীন৷ বহু মানুষের উপার্জন কমেছে৷ ঠিক সেই সময়েই ঘটল এই মূল্যবৃদ্ধি৷ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীটুকু কিনতেই হাফ ধরছে আম জনতার৷ গরিব মানুষের কাছে বেঁচে থাকাই এখন দায় হয়ে উঠেছে৷
আরও পড়ুন- পদ্মশ্রী প্রাপ্ত ‘ফরেস্ট ম্যান’ যাদব এবার অনুপ্রাণিত করবেন আমেরিকার পড়ুয়াদের!
বাজারে আলু ৪০ টাকা কেজি৷ পিঁয়াজ কেজি প্রতি বিকচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়৷ টমটো ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি৷ উদ্বেগজনক বিষয় হয়, আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত আলু-পিঁয়াজের দাম কমার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷ সামগ্রিক ভাবে সেপ্টেম্বরে সবজি, ডাল এবং পশুখাদ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷ গত বছরের তুলনায় এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে আলুর দাম ১০২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে রেকর্ড৷ ৫৫ শতাংশ দাম বেড়েছে টমেটোর৷ সেই তুলনায় বলা যায় পিঁয়াজের দাম৷ কারণ আগের বছর এর চেয়েও বেশি দাম ছিল পিঁয়াজের৷
আরও পড়ুন- করোনা থেকে মুক্তিতে আশার আলো! হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হচ্ছে মুম্বইয়ে?
আলুর চাষ কম হওয়ার এই বছর উৎপাদনও হয়েছে অনেকটাই কম৷ চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দাম৷ ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে প্রতিকূল আবহাওয়া উত্তরপ্রদেশে আলু চাষের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে৷ আবার অক্টোবর মাসে মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকে খারিফ পিঁয়াজ চাষের সময় মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে চাষের ক্ষতি হয়েছে৷ যার জেরে সরকার বাধ্য হয়ে সঞ্চয়ের সীমা বেধে দিতে৷ ছাড় দেওয়া হয়েছে আমদানির উপরেও৷ উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় কোল্ড স্টোর অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি ভুবন আগরওয়াল বলেন, ‘‘উৎপাদন কম হওয়ায় চলতি বছরে প্রায় ২০ মিলিয়ন বস্তা আলু (প্রতি বস্তায় আছে ৫০ কেজি) কম সঞ্চিত হয়েছে৷ রাজ্য সরকার কোল্ড স্টোরেজগুলিকে অক্টোবরের শেষের দিকে স্টক খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল৷ কিন্তু তা হতে নভেম্বরের মাঝামাঝি হয়ে যাবে৷ আগরওয়াল বলেন, নভেম্বর ডিসেম্বরে হিমাচল প্রদেশ এবং পঞ্জাব থেকে আলু এলেও কেজি প্রতি ২৫ টাকার নীচে দর নামার কোনও সম্ভাবনা নেই৷