নয়াদিল্লি: করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে। দেশে জ্বালানির হাহাকার, বন্ধ পরিবহণ ব্যবস্থা৷ খরচ বাঁচাতে ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা ধরে চলছে লোডশেডিং৷ অন্ধকারে ডুবে গোটা দেশ। মানুষ রাস্তায় নেবে প্রতিবাদ করছে। আন্তর্জাতিক মহল উদ্বিগ্ন সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে। এবার খোদ পশ্চিমবঙ্গের জন্য এমন সতর্কবাণী চলে এল। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের কয়েকজন উচ্চপদস্থ সচিব এই নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন। তাদের উদ্বেগ বাংলা নিয়ে তো বটেই, পঞ্জাব, দিল্লি নিয়েও।
আরও পড়ুন- টোটো-ডাম্পারে মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত একই পরিবারের চার জন-সহ মোট পাঁচ
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে জানান হয়েছে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রের কয়েকজন উচ্চপদস্থ সচিব। তারাই তাঁকে এই উদ্বেগের খবর দেন। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, খয়রাতিতে রাশ না টানলে শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, পঞ্জাব সহ একাধিক রাজ্যে। আসলে যে কোনও নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যে একাধিক প্রকল্প বিনামুল্যে চালু করা হচ্ছে তা রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য অনুকূল নয় বলে দাবি করছেন তারা। নিখরচায় বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া ঘোষণায় রাজ্যের কোষাগারের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়ছে। এতে রাজ্যের অর্থনীতি কোমায় চলে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই দ্রুত যাতে এই পরিস্থিতির থেকে বেরিয়ে আসা যায় তার পরামর্শ দিচ্ছেন সচিবরা।
চিন্তা শুধুমাত্র যে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি নিয়ে আছে তা নয়। তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশও এই তালিকায় সামিল। এই সমস্ত রাজ্যেই সরকারের তরফে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলিই আদতে অর্থনৈতিক দিক থেকে বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি করছে বলে দাবি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খয়রাতির প্রকল্পে হাজার-হাজার কোটি টাকা দিয়ে দেওয়ার কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্যক্ষেত্র বঞ্চিত হচ্ছে। এটাই ভয়ঙ্কর ব্যাপার। উল্লেখ্য, শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চার ঘণ্টা বৈঠকে কয়েকজন সচিব বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে।