নয়াদিল্লি: প্রথা মেনে সংসদে বাদল অধিবেশন শুরুর আগের দিন ডাকা হয়েছিল সর্বদলীয় বৈঠক৷ এই বৈঠকের আহ্বায়ক ছিলেন সংসদ বিষয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী৷ প্রথম দিকে হাজির না থাকলেও পরে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও৷ বিজেপি ছাড়াও সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিল কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, বিজেডি, সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি, জেডি(ইউ), আরজেডি, টিআরএস, টিডিপি, ডিএমকে, আইডিএমকে, শিরোমনি অকালি দল, ন্যাশনাল কনফারেন্স-সহ অন্যান্য দলের নেতারা৷ ওই বৈঠকেই বোমা ফাটান সমাজবাদী পার্টির নেতা রামগোপাল যাদব৷
আরও পড়ুন- শিশুদের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে করোনা! মারণ ভাইরাস থেকে শিশুদের সুরক্ষা কী ভাবে?
এদিন বিজেপি সরকারের ভালো-মন্দ দিক নিয়ে আলোচনা চলছিল নিয়ম মেনে৷ এরই মধ্যে সকলকে চমকে দিয়ে রাজনাথ সিংকে উদ্দেশ্য করে রামগোপাল যাদব বলেন, অনেক রাজ্যে রাজভবন তো পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে৷ সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের নাম না করলেও তাঁর ইঙ্গিত যে সেদিকেই ছিল, তা স্পষ্ট৷ এদিন যাদব বলেন, ‘‘আপনি প্রবীণ নেতা৷ আপনার অভিজ্ঞতা অনেক৷ আপনি অনেক কিছুই দেখেছেন৷ কিন্তু কিছু রাজ্যে রাজভবন কার্যত বিজেপি’র পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে৷ রাজ্যপাল নির্দিষ্ট দলের হলে সওয়াল-জবাব করছেন৷ তাঁর বক্তব্যে নির্দিষ্ট দলের ছাপ৷ এই বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া উচিত৷ আপনার মতো বর্ষীয়ান নেতাদের এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে৷’’
আরও পড়ুন- মোদীর মন্ত্রী, বিচারপতিদেরও ফোন ট্যাপ? বিস্ফোরক স্বামী!
অখিলেশ যাদবের অন্যতম সৈনিকের এই বক্তব্য কার্যত তৃণমূলের পাল্লাই ভারী করেছে৷ রামগোপাল যাদবের বক্তব্যে বেজায় খুশি হন দুই তৃণমূ সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যদিও সর্বদলীয় বৈঠকে সামাজবাদী পার্টি নেতার মুখে এই বিষয়টি উঠে আসবে, তা আগে থেকে ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেনি তৃণমূল৷ দলীয় সাংসদের কথায়, ‘‘আমরা দীর্ঘ দিন ধরেই এ কথা বলে আসছি৷ দিল্লি রাজ্যপালকে পরিচালিত করছেন৷ দিল্লির কথায় তিনি কাজ করে চলেছেন৷ উনি তো অমিত শাহের হাতের পুতুল৷ পশ্চিমবঙ্গের বাইরের নেতারাও যে এই বিষয়টি অনুধাবন করেছেন, এটা নিশ্চিত ভাবেই উল্লেখযোগ্য৷’’