শিশুদের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে করোনা! মারণ ভাইরাস থেকে শিশুদের সুরক্ষা কী ভাবে?

শিশুদের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে করোনা! মারণ ভাইরাস থেকে শিশুদের সুরক্ষা কী ভাবে?

কলকাতা: দ্বিতীয় ঢেউয়ের রেশই এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই আসতে চলেছে তৃতীয় ঢেউ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন অগাষ্টের শেষেই ভারতে আছড়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ। এদিকে কেন্দ্র বলছে তৃতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে বড় ভূমিকা নিতে পারে আগামী ১২৫ দিন। এই সময়ে দেশের প্রতিটি কোনে যথাযথ ভাবে কোভিড বিধি পালনের পাশাপাশি টিকাকরণের ক্ষেত্রেও নতুন করে জোর দিতে চাইছে সরকার। এদিকে বড়দের জন্য ভ্যাকসিন এলেও শিশুদের জন্য এখনও পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন আসেনি। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সতর্ক করে জানিয়েছে, করোনা সংক্রমনে শিশুদেরও ঝুঁকি রয়েছে। মারণ ভাইরাসের হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করতে উপযুক্ত পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।

এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা দরকার। এই প্রসঙ্গে এদিন নীতি আয়োগের সদস্য ডা. ভি কে পাল জানিয়েছেন, আমাদের এখনই সংক্রমণ রুখতে হবে। এটা সম্ভব হবে তখনই, যখন আমরা কোভিড বিধি পালন করব৷ তাঁর কথায়, করোনার বিরুদ্ধে আমাদের এখনও শক্তপোক্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়নি। আমরা নতুন করে সংক্রমণ প্রত্যক্ষ করতে পারি। কিন্তু, এই সংক্রমণ আমাদের ঠেকাতেই হবে। আগামী ১২৫ দিন খুব উদ্বেগজনক৷

এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই জানিয়েছেন, আমরা এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি, যেখানে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা কথা বলা হচ্ছে। গত কয়েকদিনে এই ছয় রাজ্য থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ নতুন কেসের হদিশ মিলেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দ্বিতীয় ঢেউ আসার আগেও আমরা এই ট্রেন্ড দেখেছি। যেসব রাজ্যে সংক্রমণের হার বেশি, সেখানে তৃতীয় ঢেউ রুখতে অতি সক্রিয় হতে হবে৷ করোনা মোকাবিলায় ২৩ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মজবুত করতে এই প্যাকেজকে কাজে লাগানো উচিত রাজ্যগুলিকে৷  গ্রামীণ এলাকাতেও নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতার যাতে কোনও পুনরাবৃত্তি না ঘটে, এবং শিশুদেরকে এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে তৎপর সরকার। এখন স্বাস্থ্যবিধির উপরই জোর দিতে বলছে কেন্দ্র। বর্তমানে, শিশুদের করোনা থেকে রক্ষা করার সর্বোত্তম উপায় হল,  উপযুক্ত আচরণ যেমন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। বয়সের উপযুক্ত মাস্ক পরা। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া বা অ্যালকোহল ভিত্তিক স্যানিটাইজার ব্যবহার করা। কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মাস্ক পরার প্রয়োজন হয় না। ৬ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুরা অভিভাবকদের তত্ত্বাবধানে মাস্ক পরতে পারে৷ ১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের মাস্ক পরতেই হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 9 =