নয়াদিল্লি: ফের উত্তেজনা বাড়ছে লাদাখ সীমান্তে৷ লাদাখের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফের চিনা সেনার অনুপ্রবেশ ঘটতে শুরু করেছে৷ এক প্রকার জোড় করেই এই অংশে ঢুকে পড়ছে লাল ফৌজ৷ সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রচার হতেই ফের শোরগোল বেঁধেছে৷ মোদী সরকারের চিন-নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ এরই মধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক ছাড়লেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী৷ জানা গিয়েছে, কমিটিতে ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন ওয়ানাড়ের সাংসদ৷ বিজেপি সাংসদরা তা খারিজ করতেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান রাহুল৷
আরও পড়ুন- এবার সংসদ কাঁপবে ‘দাদা ও দাদা’ স্লোগানে, প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত হচ্ছে তৃণমূল
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই স্থায়ী কমিটি মূলত ‘ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে’র কাজকর্ম পর্যবেক্ষণ করে থাকে৷ এদিন বৈঠকে চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংঘাত ও আফগানিস্তানে তালিবানদের বিভিন্ন এলাকা দখলের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি তুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী৷ তিনি বসেছিলেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের’ কাজকর্মের পর্যবেক্ষণের চেয়েও পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে সংঘাত নিয়ে আলোচনা হওয়াটা অধিক জরুরি৷ কারণ এর সঙ্গে ভারতের সুরক্ষার বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে৷ কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত বিষয়ের বইরে অন্য কোনও বিষয়ে আলোচনায় সম্মতি দেননি কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিজেপি নেতা জুয়াম ওরাম৷ এর পরেই সভা ছড়েন রাহুল৷ গত বছর ডিসেম্বর মাসেও একই কারণে সভা ছেড়েছিলেন রাহুল গান্ধী৷
আরও পড়ুন- জল্পনায় ইতি, রাজ্যসভার বিজেপি দলনেতা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
এদিন সকালে একটি টুইট করে রাহুল বলেন, ‘‘বিদেশ এবং প্রতিরক্ষা নীতিকে ভারত সরকার ঘরোয়া রাজনীতির অস্ত্র করে তুলেছে৷ যার ফলে দেশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। এর আগে কোনও দিন এত বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পৌঁছয়নি ভারত।” সেই সঙ্গে তিনি সংবাদপত্রে প্রকাশিত চিনা সেনার অনুপ্রবেশের অংশটিও জুড়ে দেন। যদিও এই খবরটি অসত্য বলে দাবি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক৷