অমৃতসর: বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে যা বলেছিলেন তা করে দেখিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তৃণমূলের কংগ্রেসের ভোটকুশলীকে নিয়ে এখন আপাতত জাতীয় রাজনীতিতে কোনও রকম সন্দেহ থাকার কথা নয়। আর সন্দেহ নেইও কারোর। কারণ ইতিমধ্যেই পঞ্জাব নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ‘পিকে’, সেই প্রেক্ষিতেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি। এই বৈঠক ঘিরেই নয়া জল্পনা দেশের রাজনৈতিক মহলে।
জানা গিয়েছে, আজ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বাড়িতেই তাঁর এবং প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বৈঠক করেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্জাব কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক হরিশ রাওয়াত, নেতা কেসি বেনুগোপাল। বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রশান্ত কিশোর স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি আর ভোটকুশলীর কাজ করবেন না, কিন্তু এখন তিনি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের পরামর্শদাতা। এদিকে পঞ্জাব কংগ্রেস নিয়ে বিগত প্রায় এক মাস ধরে ব্যাপক হই হই চলছে, কার্যত অমরিন্দর বনাম সিধু লড়াই। সেই প্রেক্ষিতেই কংগ্রেস হাইকমান্ড এই ইস্যু নিয়ে চিন্তিত। তাই মনে করা হচ্ছে, এই কারণের প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করে পঞ্জাবের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। কারণ বিগত এক মাস ধরে রাজ্যের নেতৃত্বের পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাহত হয়েছে ‘হাত’ শীর্ষ স্থানীয়রা। তাই এবার হয়ত তাঁরা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের পরামর্শদাতা প্রশান্তের ভাবনা জানতে চাইছে।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা: নিহত BJP কর্মীর DNA পরীক্ষার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
পরিস্থিতি এমন দিকে মোড় নিচ্ছে যে মনে করা হচ্ছে, রাজ্য পার্টির ক্ষমতা সিধুর হাতেই আসতে চলেছে। শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেস হাই-কমান্ডেরও সিধুর প্রতি সমর্থন রয়েছে। এর আগে এআইসিসি তিন সদস্যের কমিটি করে ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ দিল্লিতে বসে খতিয়ে দেখছে। সেই প্যানেলের সামনে বসে নিজের বক্তব্য বলেছেন ক্যাপ্টেন। কিন্তু, গান্ধী পরিবারের কেউ তার সঙ্গে দেখা করেননি। তবে নাম না প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমে এক কংগ্রেস নেতার বিবৃতি বেরিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্জাবের মানুষ ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে দেখে ভোট দিয়েছেন। সোনিয়া, রাহুল গান্ধীকে দেখে নয়। ওই ৭৯ বছরের বৃদ্ধ মানুষটিকে কংগ্রেস অপমান করলে মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না।
আরও পড়ুন- ডেডলাইন ৪ দিন! ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের টাকা দিতেই হবে, নির্দেশ নবান্নের
২০১৭ সালে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যাত্রাপথ শুরু করেন সিধু। কিন্তু শুরু থেকেই ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-এর সঙ্গে তার অম্ল মধুর সম্পর্ক বজায় ছিল। ২০১৯-এ ক্যাপ্টেনের মন্ত্রিসভা ছাড়েন সিধু। অনেক মন্ত্রী, এমএলএ, এমপি-রা ক্যাপ্টেনের প্রশাসনকে পরিচালনা করার পদ্ধতিকে পছন্দ করছিলেন না। তারা সিধুর দিকে ঝুঁকে পড়েন।