নয়াদিল্লি: রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, এমন দাবি তুলে প্রথম থেকেই আক্রমণ করে গিয়েছে কংগ্রেস। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আবহে রাফাল ইস্যু ছিল বিরোধীদের কাছে সব থেকে বড় অস্ত্র। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপি নেতৃত্বের খুব একটা ক্ষতি করতে পারেনি বিরোধীরা। এর আগে একাধিক মিডিয়ায় রিপোর্টে রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগের কথা সামনে এসেছে। এবার ফ্রান্সে ফের একবার এই মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু হতে চলেছে বলে খবর।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের প্রশাসনের সঙ্গে ভারত সরকারের এই যুদ্ধ বিমান নিয়ে ৫৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হয়। কিন্তু এই চুক্তিতে দুর্নীতি এবং পক্ষপাতিত্ব হয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপক সমালোচনা শুরু করে কংগ্রেস এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে শুরু করেন সাংসদ রাহুল গান্ধী। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই পরিস্থিতির খুব একটা ফায়দা তুলতে পারেনি তারা এবং তারপরে ভারতে ইতিমধ্যে এসে গিয়েছে রাফাল যুদ্ধবিমান। কিন্তু এবার আবার ফ্রান্সে এক বিচারকের তত্ত্বাবধানে শুরু হতে চলেছে রাফাল মামলার তদন্ত। এক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ফ্রান্সের পাবলিক প্রসিকিউশন সার্ভিসের আর্থিক অপরাধ শাখার প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, সহকর্মীদের আপত্তি থাকলেও রাফাল চুক্তির তদন্ত হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- সারদা মামলা: সুদীপ্ত সেনের বয়ান দেখিয়ে শুভেন্দুর গ্রেফতারি চাইলেন কুণাল
প্রসঙ্গত বিরোধীদের দাবি ছিল, বর্তমান সরকারের অধীনে ভারত এক একটি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ১,৬৭০ কোটি টাকা করে। এদিকে ইউপিএ সরকার যখন এই বিমানই কেনার পরিকল্পনা করছিল, তখন তার দাম উঠেছিল ৫২৬ কোটি টাকা। এত বেশি দাম কয়েক বছরের মধ্যে হয়ে যাওয়ায় সন্দেহ করতে শুরু করে বিরোধীরা। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, বর্তমান রাফাল চুক্তিতে কাস্টমাইজড অস্ত্রশস্ত্র দেওয়ার কথা রয়েছে, সেই কারণে দামে হেরফের।