সরকারি জায়গা অনির্দিষ্টকাল দখলে রাখা যায় না, শাহিনবাগ মামলায় জানাল সুপ্রিম কোর্ট

সরকারি জায়গা অনির্দিষ্টকাল দখলে রাখা যায় না, শাহিনবাগ মামলায় জানাল সুপ্রিম কোর্ট

2c6fc34674c3b1a9af2e8e2abe71da41

নয়াদিল্লি: বছরের শুরুতেই কেন্দ্রের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ আন্দোলন৷ প্রতিবাদের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছিল দিল্লির শাহিনবাগ৷ রাজধানীর রাজপথ জুড়ে শুরু হয় করে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ৷ এর বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছিল৷ বুধবার সেই মামলার শুনানিতে বড় সড় ধাক্কা খেল শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীরা৷ এই ভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য সরকারি রাস্তা বা জায়গা দখল করে রাখা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট৷   

আরও পড়ুন- সুখবর! চূড়ান্ত ট্রায়ালে সফল ৯টি টিকা! নেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, নিরাপদ! বাড়ছে প্রতিরোধ ক্ষমতা

এদিন শীর্ষ আদালত জানায়, শাহিনবাগ বা অন্য কোথাও সরকারি রাস্তা বা জায়গা অনির্দিষ্টকালের জন্য দখল করে রাখা যাবে না৷ প্রশাসনকে রাস্তা খোলা রাখার জন্য পদক্ষেপ করতে হবে৷ আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় থাকবেন না৷’’ আদালত আরও জানায়, ‘‘শাহিনবাগের রাস্তা খুলে দেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশের উচিত ছিল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা৷ গণতন্ত্র ও বিক্ষোভ একসঙ্গে চলতে পারে না৷’’ নাগরিকদের বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার আছে৷ কিন্তু তার জন্য সাধারণ মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি বা যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত হওয়ার বিষয়টি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়৷ 

গত বছর সংশোধিক নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির শাহিনবাগে। মূলত সংখ্যালঘু মহিলারাই ছিলেন সেই আন্দোলনের সামনের সারিতে। চলতি বছর মার্চ মাস পর্যন্ত চলে এই বিক্ষোভ৷ এর পর করোনা সংক্রমণের রুখতে লকডাউন শুরু হওয়ার পরই জোর করে বিক্ষোভকারীদের ধরনাস্থল থেকে হটিয়ে দেয় পুলিশ৷  তবে এখনও চলছে প্রতীকি আন্দোলন৷ জ্বলছে হিংসার আগুন৷ 

আরও পড়ুন- ভোটে না জিতেও এঁরা আজ মুখ্যমন্ত্রী! কীভাবে সম্ভব জানেন?

শাহিনবাগের অবস্থান বিক্ষোভের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিলেন আইনজীবী অমিত সাহানি। গত ১৪ জানুয়ারি ওই মামলার শুনানিতে দিল্লি আদালত জানায়, বৃহত্তর জনস্বার্থে এবং দিল্লির আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দিল্লি পুলিশের উচিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কিন্তু এর পরেও শাহিনবাগে চলতে থাকে আন্দোলন৷ পরে এই মামলাটিও ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *