নয়াদিল্লি: করোনার তাণ্ডবে জেরবার গোটা বিশ্ব৷ করোনাকে রুখতে চলছে টিকা তৈরির প্রতিযোগিতা৷ দিনরাত এক করে করোনা টিকার সন্ধান চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷ এবার তাঁদের সেই পরিশ্রম সফল হতে চলেছে৷ সাফল্যের পথে একটি, দু’টি নয়, ৯টি ভ্যাকসিন৷ ভারত-সহ বিশ্বের একাধিক দেশে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে৷ তার মধ্যে ন’টি ভ্যাকসিনই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে দিয়েছে বলে খবর৷
প্রাথমিক সাফল্যের মুখ দেখা ৯টি করোনা টিকার এখনও পর্যন্ত কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি৷ প্রতিটি ক্ষেত্রে শরীরে বাড়ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা৷ আমেরিকার ফাইজার ও মোর্ডেনা, ভারতের বায়োটেক ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা-সিরাম, জাইডাস ক্যাডিলা, রাশিয়া এবং চিনে ভ্যাকসিনে দ্বিতীয় ও শেষ পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে৷ এই ৯টি টিকা চূড়ান্ত পর্যায়ে সফল হওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পূর্ণাঙ্গ শংসাপত্র দিলেই তা বাজারে আসবে৷ তারপর সাধারণ মানুষ হাতে পাবেন প্রতিষেধক৷
করোনা টিকা তৈরির প্রতিযোগিতায় ইতিবাচক সাড়া ফেলে দিয়েছে ভারত৷ তালিকায় রয়েছে আমেরিকার ফাইজার, মোর্ডেনা এবং ব্রিটেন৷ ভারত ও অক্সফোর্ডের টিকার প্রথম উৎপাদ আগামী ডিসেম্বরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার গোটা বিষয়টি ইতিমধ্যেই নিশ্চত করেছে৷
চলতি বছরের শেষেই করোনার প্রতিষেধক চলে আসবে বলে আশাবাদী হু-র ডিরেক্টর জেনারেল টেডরোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস৷ করোনা প্যান্ডেমিক নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক্সিকিউটিভ বোর্ডের বৈঠকে ডিরেক্টর জেনারেল বলেন,‘‘ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সবার আগে প্রয়োজন ভ্যাকসিন। আমরা আশা করছি, চলতি বছরের শেষেই আমাদের হাতে নিরাপদ এবং উপযোগী ভ্যাকসিন চলে আসবে।”
গোটা বিশ্বে করোনা ভ্যাকসিন যাতে সমান ভাবে পৌঁছে যায়, তার জন্য রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে সংহতি এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ঘেব্রিয়েসুস৷ তিনি বলেন, ‘‘করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে৷’’ সারা বিশ্বে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে WHO এবং GAVI মিলিতভাবে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে৷ যার নাম COVAX৷ বিশ্বের একাধিক দেশে এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দিয়েছে৷ বর্তমানে ৯টি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে COVAX৷ এগুলির মধ্যে কোন ভ্যাকসিনটি এ বছর আসতে চলেছে সে সম্পর্কে অবশ্য কিছু জানাননি হু-র ডিরেক্টর জেনারেল টেডরোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস৷ ইতিমধ্যে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেন, কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেলে এবং তা যথাযথভাবে বণ্টন করা হলে বিশ্বের ধনী দেশগুলি ২০২১ সালের শেষের দিকে প্রায় স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারবে৷ তবে তাঁর কথায়, আমরা এখনও জানি না ভ্যাকসিনগুলি কতটা কার্যকর হবে৷