নয়াদিল্লি: বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে ভারত বনধের ডাক দিল বিদ্রোহী কৃষকরা৷ আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর দেশজুড়ে বনধ পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হবে বলেও ঘোষণা করেছে ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন৷ মঙ্গলবার সমস্ত জাতীয় সড়ক ও টোলপ্লাজাগুলি অবরোধ করা হবে৷ তাঁদের দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে বলেও সুর চড়িয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি৷
আরও পড়ুন- কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে ট্রুডোর মন্তব্যে অসন্তুষ্ঠ দিল্লি, তলব কানাডার হাইকমিশনারকে
কৃষক আন্দোলনের সামনে সুর নরম করে কৃষি আইন সংশোধনে রাজি হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ কিন্তু নিজেদের দাবি থেকে সরতে নারাজ দিল্লির উপকন্ঠে আন্দোলনরত কৃষকরা৷ তাঁদের দাবি, সম্পূর্ণভাবে এই তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে৷ ইতিমধ্যে চারবার সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন কৃষক নেতারা৷ কিন্তু প্রতিবারই বৈঠক নিস্ফলা হয়েছে৷ মেলেনি সামাধান সূত্র৷ আজ ফের আলোচনার টেবিলে বসবেন তাঁরা৷ ফলে আন্দোলনের তেজ আরও বাড়িয়ে চলেছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা৷ অন্যদিকে, কৃষক আন্দোলনের জেরে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তা ভাঙতে মরিয়া কেন্দ্র৷
গত দু’মাস ধরেই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন পঞ্জাব-হরিয়ানার কৃষকরা৷ চলছে আন্দোলন৷ তবে দিন দশ আগে সেই আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ে দিল্লির উপকন্ঠে৷ তাঁদের পথ আটকাটনোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পুলিশ৷ দিল্লি সীমান্তে পৌঁছে যান হাজার হাজার কৃষক৷ সেই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্য থেকেও কাতারে কাতারে কৃষকরা যোগ দেন বিক্ষোভে৷ অল ইন্ডিয়া কিসান সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লার বলেন, ‘‘দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কৃষক আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে৷ এই তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে সরকারকে৷’’
আরও পড়ুন- কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মিলবে করোনার ভ্যাকসিন, সর্বদল বৈঠকে ঘোষণা মোদীর
শনিবার পঞ্চম দফার বৈঠকে বসবেন তাঁরা৷ অন্যদিকে চলবে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দহনের কর্মসূচি৷ পরে সাংবাদিক বৈঠক করবেন কৃষক নেতারা৷ কৃষক নেতা গুরনাম সিং বলেন, ‘‘শনিবারের বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার যদি আমাদের দাবি পূরণ না করে, তাহলে আরও জোড়াল হবে আন্দোলন৷ দাবি পূরণ না হলে মঙ্গলবার দিল্লি যাওয়ার সমস্ত পথ অবরুদ্ধ করা হবে৷ কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ৭ ডিসেম্বর নিজেদের মেডেল ফিরত দেবেন ক্রিড়াবিদরা৷