নয়াদিল্লি: দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন টুড্রো এবং সেদেশের কিছু ক্যাবিনেট সদস্যের মন্তব্যে দু’দেশের সম্পর্ক গভীর প্রভাব পড়বে৷ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না৷ কানাডার হাই কমিশনারকে ডেকে এ কথা সাফ জানিয়ে দিল বিদেশ মন্ত্রক৷
আরও পড়ুন- কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মিলবে করোনার ভ্যাকসিন, সর্বদল বৈঠকে ঘোষণা মোদীর
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ভারতের তীব্র কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে মন্তব্য করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘ভারতে যে কৃষক আন্দোলন চলছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক৷ কানাডা সবসময়ই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকার রক্ষায় পাশে থাকবে৷’’ এর পরেই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘কানাডার নেতারা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করছেন৷ কোনও গণতান্ত্রিক দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এহেন মন্তব্য অযাচিত৷ রাজনৈতিক উদ্দেশে কূটনৈতিক কথোপকথনকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করা উচিত নয়৷’’ এদিকে, কৃষক আন্দোলন নিয়ে এই ধরনের মন্তব্যের পরই কানাডায় কট্টরপন্থীরা ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখান৷ যা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র৷ ট্রুডোর মন্তব্যের রেশ ধরেই বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ‘‘আমরা আশা করি, যে কোনও রকমের চরমপন্থী আন্দোলনের হাত থেকে কানাডার ভারতীয় দূতাবাস ও সেখানকার কর্মীদের নিরাপত্তা দেবে সে দেশের সরকার৷’’
আরও পড়ুন- বিদ্রোহী কৃষকদের অবরোধে ‘চাক্কা জ্যাম’ দিল্লি সীমান্তে, জট কাটাতে ফের বৈঠক শনিতে
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ডের কৃষকরা৷ কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিক বৈঠকেও জট কাটেনি৷ আগামীকাল ফের কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কেন্দ্র৷ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় তাঁরা৷ দাবি, কৃষকরা যাতে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পান, সে বিষয়ে আইনি ভাবে নিশ্চয়তা দিতে হতে তাঁদের৷ তারপরেই শেষ হবে ‘দিল্লি চলো’ অভিযান৷
এদিকে আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিক্ষোভকারী কৃষকদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন পঞ্জাব, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীরাও৷ টানা দশদিন আন্দোলনের পর কিছুটা সুর নরম করেছে কেন্দ্র৷ কৃষকদের আইনি অধিকার দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমর৷