নয়াদিল্লি: ভাইবোনের সম্পর্কে নাকি ফাটল ধরেছে৷ এমনটাই দাবি করেছিল বিজেপি’র৷ সেই দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে প্রিয়াঙ্কা বললেন, ‘‘আমি দাদা রাহুলের জন্য জীবন দিতে পারি।”
আরও পড়ুন- SBI সহ বহু ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল ঋণ, এ যাবৎ সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি গুজরাতি সংস্থার
প্রসঙ্গত, রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সম্পর্ক নিয়ে সরব হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার সম্পর্কে ফাটলের জেরেই আরও বেশি মুখ থুবড়ে পড়বে কংগ্রেস।’ যোগীর কটাক্ষের সমুচিত জবাব দেন কংগ্রেস নেত্রী৷ বরং পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘‘কোথায় সংঘর্ষ দেখলেন? আমি তো আমার দাদার জন্য জীবনও দিতে পারি। আর দাদাও জীবন দিতে পারে আমার জন্য।” এখানেই থামেননি প্রিয়াঙ্কা৷ মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘‘ফাটল আসলে যোগীর মনে। মনে হচ্ছে বিজেপি’র অন্দরেই ফাটল ধরেছে। ওঁর সঙ্গে মোদী ও অমিত শাহের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে৷’’
উল্লখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ভোট হয়েছে উত্তরপ্রদেশে৷ রাজ্যজুড়ে চলছে জোরকদমে প্রচার। এদিকে হেলিকপ্টারে করে জনসভার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে এভাবেই গেরুয়া শিবিরকে একহাত নিলেন প্রিয়াঙ্কা৷ যদিও উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক প্রিয়াঙ্কা। নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের সময় যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনিই কি উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের ‘মুখ্যমন্ত্রীর মুখ?’ জবাবে প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, ‘‘আপনারা কি অন্য কারও মুখ দেখতে পাচ্ছেন? আমার মুখই তো সর্বত্র দেখা যাচ্ছে, তাই না? ব্যাস।’’
তাঁর এই মন্তব্য রীতিমতো শোরগোল পড়ে৷ বিরোধীরা বলতে শুরু করে এবারের নির্বাচনে যোগী, অখিলেশের মতোই কংগ্রেসের ‘মুখ্যমন্ত্রীর মুখ’ তিনি। যদিও পরে নিজের মন্তব্য থেকে সরে এসে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “আমি বলছি না যে আমিই একমাত্র মুখ। তবে আপনারা বারবার একই প্রশ্ন করেন, তাই আমিও একটু বাড়িয়েই বলেছিলাম।”