নয়াদিল্লি: ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি৷ ২২,৮৪২ কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ সামনে এসেছে৷ এই অভিযোগে গুজরাতের এবিজি শিপইয়ার্ডের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল সিবিআই। পাশাপাশি সংস্থার তিন ডিরেক্টর— ঋষি আগরওয়াল, সন্থানাম মুথুস্বামী ও অশ্বিনী কুমারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ এ যাবৎ এটিই সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি বলে জানিয়েছে সিবিআই৷
আরও পড়ুন- গোয়ায় আই-প্যাকের ভাড়া নেওয়া বাড়ি পুলিশি হানা, মাদক সহ গ্রেফতার PK-র সংস্থার কর্মী
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই)-সহ ২৮ টি ব্যাঙ্ক এবং আইসিসিআই ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের থেকে মোট ২২,৮৪২ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিল এবিজি শিপইয়ার্ড। এটি এজিবি গ্রুপের অন্যতম সংস্থা৷ গুজরাটের সুরাত এবং দাহেজে সংস্থার যে কারখানা আছে, শুধুমাত্র এসবিআইয়ের কাছ থেকে তারা ২,৪৬৮.৫১ কোটি টাকা ঋণ নেয়৷
জাহাজ নির্মাণ এবং জাহাজ মেরামতির সঙ্গে জড়িত এজিবি সংস্থার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ আসে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে৷ পরের বছর সিবিআই ওই সংস্থার কাছ থেকে ব্যাখ্যা তলব করে৷ এবং অগাস্ট মাসে নতুন করে অভিযোগ জমা পড়ে৷ গত দেড় বছর ধরে তদন্তের পর চলতি মাসের ৭ তারিখ এজিবি’রর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করে সিবিআই।
সিবিআই জানিয়েছে, পরবর্তীকালে ফরেন্সিক অডিটে দেখা গিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে এই মামলায় অভুযুক্তরা আর্থিক তছরুপ সহ একাধিক বেআইনি কাজ করেছে৷ সমস্ত বেআইনি কাজ হয়েছে ব্যাঙ্কের তহবিল ভাঙিয়ে৷ যে কারণ দর্শিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল, সেই সকল খাতে টাকা ব্যবহার করা হয়নি৷ ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ঋণের অ্যাকাউন্টকে ঋণ অনুৎপাদিত সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১৯ সালে গোটা বিষয়টিকে জালিয়াতি বলে চিহ্নিত করা হয়৷
সিবিআই-এর এফআইআরে আরও বলা হয়েছে, এই সময়কালে পণ্যের চাহিদা ও দর পড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারের টালমাটাল পরিস্থিতির আঁচ এসে পড়েছিল জাহাজ শিল্পে৷ বেশ কিছু চুক্তি বাতিল হওয়ায় তার ঘাটতি দেখা দিয়েছিল মূলধনে৷ মজুতের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছিল৷ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে থেকেও বরাত প্রায় বন্ধ হয়েছিল৷ সব মিলিয়ে ঋণের কিস্তি মেচটাতে সমস্যায় পড়েছিল এবিজি৷