কেরল: মতাদর্শগত বিভেদ আকাশছোঁয়া। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল বিজেপির বিপরীতে হাত মিলিয়েছে বাম আর ডান শিবির। কারণ ভোট বড় বালাই। বাম-কংগ্রেসের এই জোট যে নিতান্তই ভোটের খাতিরে, এদিন সেকথাই আরো একবার প্রমাণিত হল প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কথায়।
পশ্চিমবঙ্গে বামেদের সঙ্গে হাত মেলালেও কেরালায় বাম সরকার কংগ্রেসের প্রধান বিরোধী। আর তাই এদিন কেরালা বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট প্রচারে গিয়ে পিনারাই বিজয়ন পরিচালিত রাজ্য সরকারকে এক হাত নিলেন জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কেরালার বাম সরকারকে ফ্যাসিস্ট বলেও দাবি করলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে একদিকে যখন বামেদের সঙ্গে কংগ্রেস তার হাত মিলিয়েছে, তখনই কেরালায় এহেন বাম বিরোধিতা তাঁদের রাজনৈতিক কৌশলে প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন- “মুসলিম ভোট নির্ভর মমতা, গুঁতিয়ে দেওয়া দরকার”, হুঙ্কার আব্বাসের
কেরালায় গিয়ে এদিন ঠিক কী বলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী? এদিন দক্ষিণ কেরলের তিনটি উপকূলীয় জেলায় রোড শো করেছেন তিনি। তাঁর জনসভায় স্বভাবতই উপচে পড়ে ভিড়ও। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন “কেরলে ভীতির পরিবেশ তৈরি করছে ফ্যাসিস্ট বাম সরকার।” শুধু তাই নয়, বাম সরকারের বিরুদ্ধে স্বজনপোষন, সোনা পাচারসহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগও করেন তিনি। তাঁর কথায়, “এই সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তিনি নাকি কিছুই জানেন না। তাই যদি হয় তবে সরকারটা চালাচ্ছে কে?” গত ৫ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পিনারাই বিজয়ন যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার কিছুই পালন করা হয়নি বলেও দাবি করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়া।
বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গে বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সংযুক্ত মোর্চার জোট শরিক হয়েছে কংগ্রেস। ত্রিপাক্ষিক এই জোটে রয়েছে আব্বাস সিদ্দিকীর নতুন দল আইএসএফ-ও। কিন্তু জোটকে মতাদর্শের দিক থেকে যে এখনো হজম করতে পারেনি কংগ্রেস বারবার তা সামনে এসেছে। এমনকি বাংলায় প্রচার করতেও আসেননি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।