মেটিয়াবুরুজ : অনেকেই বলছেন তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভুল করেছে বাম-কংগ্রেস। যেটুকু ভোট এখনও তাঁদের ঝুলিতে ছিল, এবার নিশ্চিহ্ন হবে তাও। কিন্তু আব্বাস সিদ্দীকির জনসভা, তাঁর ভাষণের তেজ আর তাঁকে নিয়ে সভায় উপস্থিত জনতার উন্মাদনা কিন্তু হিসেব উল্টে দিচ্ছে। নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে ভাঙর, কিংবা সিঙ্গুর, সংযুক্ত মোর্চার হয়ে প্রচারে ঝড় তুলছেন আব্বাস সিদ্দীকি।
এ রাজ্যে মুসলমানদের ভোটের উপরেই নির্ভর করে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এদিন দলীয় জনসভা থেকে এমনটাই মন্তব্য করেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট নেতা আব্বাস সিদ্দীকি। শুধু তাই নয়, মুসলিম নির্ভর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে এ রাজ্য থেকে গুঁতিয়ে দেওয়ার দরকার বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্রয়েই বেড়েছে বিজেপির রমরমা। তৃণমূল শাসনের আগে ৩৪ বছরের বাম শাসন হোক বা তারও আগে কংগ্রেস, বাংলার রাজনীতিতে সেসময় গেরুয়া রং প্রবেশ করতে পারেনি কোনোভাবেই।
আরও পড়ুন- “প্রার্থী না হলেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়া যায়”, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি
মঙ্গলবার মেটিয়াবুরুজের বাদামতলায় সংযুক্ত মোর্চার সমর্থনে আয়োজিত সভায় যোগ দিয়েছিলেন আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দীকি। আর সেখান থেকেই চেনা ভঙ্গিতে ফের তৃণমূল আর বিজেপিকে এক হাত নিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে ঢপ দিচ্ছেন। বলেছিলেন ওয়াকফ সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু কিছুই করা হয়নি। বরং পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ওয়াকফ সম্পত্তির উপর বিজেপির পার্টি অফিস তৈরি করতে সাহায্য করেছেন উনি।” এখানেই শেষ নয়, রাজ্যে তৃণমূলী শাসনেই হিন্দু মুসলিমের বিভেদ স্পষ্টতর হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া, এদিনের জনসভা থেকে তৃণমূল মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও আক্রমণ করেন আব্বাস। পুরমন্ত্রীকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি।
বস্তুত, এ রাজ্যে তৃণমূল আর বিজেপির জাঁকজমকপূর্ণ প্রচারের বিপরীতে জনসংযোগকেই মূল হাতিয়ার করেছে সংযুক্ত মোর্চা। আর দিন দিন আব্বাস সিদ্দীকির সভাকে ঘিরে যে হারে উন্মাদনা বেড়ে চলেছে, তাতে একুশের খেলা ঘুরে যেতে পারে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।