কলকাতা: তিনি বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। নানা সময় নানা বিতর্কিত মন্তব্য করলেও এ রাজ্যের মানুষ ভোট বাক্সে বিজেপির পক্ষে রায় দিলে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারটা যে তাঁর জন্যেই পাকা থাকবে তা চোখ বুজেই আন্দাজ করেছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হতেই ধাক্কা খায় সেই প্রচলিত আন্দাজ। প্রার্থী তালিকায় দিলীপ ঘোষের নাম দেখা যায় না কোথাও। তবে কি দলে গুরুত্ব হারালেন তিনি? তবে কি দল জিতলে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করবেন না মোদী শাহরা? উঠে গেছিল একাধিক প্রশ্ন।
বস্তুত এ রাজ্যে নির্বাচনী কৌশল হিসেবে ভোটের আগে কোনো মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি গেরুয়া শিবির। ফলে এই অঘোষিত নাম নিয়ে দেদার জল্পনা জারি রয়েছে আজও। কখনো দিলীপ ঘোষ, কখনো বাবুল সুপ্রিয়, কখনো শুভেন্দু অধিকারী কিংবা মুকুল রায়, এমনকি গেরুয়া মুখ্যমন্ত্রীর জল্পনা থেকে বাদ যাননি সৌরভ গাঙ্গুলীও। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন বক্তব্যে এবার এই জল্পনার জট খুলছে বলেই মনে হয়।
আরও পড়ুন- “শ্যুটিং শেষ, প্যাক আপ”, মমতার হুইলচেয়ার কাণ্ডকে তীব্র কটাক্ষ বামেদের
প্রার্থী না হলেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সম্ভব, এদিন এমনটাই মন্তব্য করেছেন গেরুয়া রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভোট উত্তাপ ও তাকে ঘিরে জল্পনার মাঝে এই ধরণের মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। এটি উস্কে দিয়েছে বহু চর্চিত জল্পনাকেও। ঠিক কী বলেছেন এদিন দিলীপ ঘোষ? জানা গেছে, তিনি বলেছেন, “যাঁরা ভোটে লড়ছেন দল জিতলে যে তাঁদের মধ্যে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করতে হবে তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বাইরে থেকেও কেউ হতে পারেন।” দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
দিন দুয়েক আগেই নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে এ রাজ্যে সরকার চালাবেন তিনি আর দিলীপ ঘোষ। কিছুদিন আগে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদীর মুখেও শোনা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষের ভূয়সী প্রশংসা। আর এদিন সেই জল্পনাকেই আরো খানিক বাড়িয়ে অমিত শাহ বলেছেন, “দল জিতলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হবেন কোনও ভূমিপুত্রই”। বিজেপি জিতলে গেরুয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীল বাড়ির চেয়ারটি কার দখলে যায় সেটাই এখন দেখার।