নয়াদিল্লি: দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাই বলে কথা! এমনিতেই তাঁকে নিয়ে শোরগোল চলতে থাকে। তার উপর তিনি যদি দিয়ে বসেন অনশনের হুমকি, তবে পরিস্থিতির গাম্ভীর্য অনুমান করা যায় সহজেই। এদিন হলও তাই। লক্ষ্ণৌ বিমানবন্দর চত্বরে প্রথমে ধর্নায় বসে, পরে অনশনের হুমকিও দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাই প্রহ্লাদ মোদী।
আরও পড়ুন- তফসিলি জাতি উপজাতির উপর বেড়েছে অত্যাচার! স্বীকার করল কেন্দ্রও
অবশ্য অনশন আর করা হয় নি অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের (AIFPSDF) সভাপতি প্রহ্লাদ মোদীর। অনশন ঘোষণার মাত্র দেড় ঘন্টার মধ্যেই বিমানবন্দর চত্বর ছেড়ে চলে যান তিনি। কিন্তু কেন হঠাৎ অনশনের হুমকি দিলেন প্রধানমন্ত্রীর ভাই? ঠিক কী হয়েছিল?
জানা গেছে, বুধবার একটি ইন্ডিগো বিমানে চড়ে লক্ষ্ণৌ বিমানবন্দরে নামেন প্রহ্লাদ মোদী। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর চত্বরে ভিড় করেন প্রায় শ’খানেক সমর্থক। কিন্তু ওই এলাকায় তখন কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী এবং ১৪৪ ধারা জারি ছিল বলেই দাবি করেছে পুলিশ। ফলে প্রায় ১০০ জন প্রহ্লাদ মোদীর সমর্থককে লক্ষ্ণৌ বিমানবন্দর থেকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। নিজের সমর্থকদের গ্রেফতারির প্রতিবাদেই ধর্নায় বসেন নরেন্দ্র মোদীর ভাই।
সংবাদমাধ্যমের কাছে এ প্রসঙ্গে তিনি জানান অন্যায় ভাবে পুলিশ তাঁর সমর্থকদের গ্রেফতার করেছে। বলেন, “আজ আমার প্রয়াগরাজ যাওয়ার কথা ছিল। মঙ্গলবার থেকেই সেখানে একটি কর্মসূচি চলছে। কিন্তু আমার সমর্থকরা হাজতবাস করবেন আর আমি বাইরে ঘুরে বেড়াব, তা হয় না।” এরপরই পুলিশি জুলুমের প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন তিনি। সিদ্ধান্ত নেন অনশনেরও। জানান, “চৌধুরি চরণ সিংহ বিমানবন্দরে অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জল বা খাবার, কিছুই ছোঁব না। আমার জীবন চলে গেলেও এখান থেকে নড়ছি না।”
আরও পড়ুন- নির্মম! আদিবাসী কিশোরীকে গণধর্ষণের পর পাথর মেরে খুন, শেষ করা হল বাবা-ভাইঝিকে
এখানেই শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রীর ভাই আরো বলেন, “উত্তরপ্রদেশে কি কেউ এলে তাঁদের স্বাগত জানানো যায় না? এমন আইন রয়েছে?” পুলিশের তরফ থেকে পিএমও-র নির্দেশের কথা বলা হলেও তাঁরা কোনো নির্দেশনামা দেখাতে পারেননি বলেই জানিয়েছেন প্রহ্লাদ মোদী।
লক্ষ্ণৌ বিমানবন্দরের অ্যাডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার ভূপেন্দ্র সিং জানিয়েছেন আইন ভেঙে জমায়েতের কারণেই আটক করা হয়েছিল প্রহ্লাদ মোদীর সমর্থকদের। কিন্তু পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।