কেন তাড়াহুড়ো করে সৎকার? যোগী পুলিশ-প্রশাসনের কাছে ব্যাখ্যা তলব হাইকোর্টের

কেন তাড়াহুড়ো করে সৎকার? যোগী পুলিশ-প্রশাসনের কাছে ব্যাখ্যা তলব হাইকোর্টের

00e52cd67dbc41c4035525518d373649

 

লখনউ: হাথরাসে ১৯ বছরের দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ-নির্যাতন এবং সর্বোপরী তাঁর মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি দেহ সৎকারের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ৷  উত্তরপ্রদেশ সরকারের শীর্ষ আধিকারিক ও পুলিশ কর্তাদের সমন পাঠিয়েছে আদালত৷ ১২ অক্টোবর আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের৷ ওই দিন আদালতে ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যদেরও উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ৷ যাতে তাঁদের বক্তব্যও জানাতে পারা যায়৷ 

আরও পড়ুন- ডাইনি সন্দেহে দু’জনকে খুন, ৯ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল অসম পুলিশ

এর আগে নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছিল, তাঁদের অন্ধকারে রেখেই মধ্যরাতে নির্যাতিতার দেহ সৎকার করে  পুলিশ৷ ওই তরুণীর বাবা জানিয়েছিলেন, তাঁকে না জানিয়েই হাসপাতল থেকে মেয়ের দেহ বার করে আনে পুলিশ৷ কেন তাড়াহুড়ো করে নির্যাতিতার দেহ দাহ করা হল, তা জানতেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে লখনউ বেঞ্চ৷ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে পরিবারের অনুমতি ছাড়াই ওই দলিত তরুণীর দেহ সৎকার করে পুলিশ৷ মৃতের পরিবারের সদস্যদের জোড় করে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগও ওঠে৷ এদিকে যোগী সরকারের পুলিশের দাবি, পরিবারের সম্মতিতেই সবটা হয়েছে৷ এই ঘটনায় আদালত মর্মাহত বলেই এদিন জানায় বেঞ্চ৷ আগামী ১২ তারিখ তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে অন্য কোনও এজেন্সিকে তদন্তের গতিবিধির উপর নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে লখনউ বেঞ্চ৷  

আরও পড়ুন- ঘুরছে ভারতের অর্থনীতি, সেপ্টেম্বরের পরিসংখ্যানে মিলেছে ইতিবাচক ইঙ্গিত

বৃহস্পতিবার বিচারপতি রঞ্জন রায় এবং যশপ্রীত সিং-এর বেঞ্চ জানায়, এই মামলায় চার জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তদন্তের জন্য ‘সিট’ ও গঠন করা হয়েছে৷ এর পর মামলার কতটা অগ্রগতি হল, তা নিয়েই আমরা উদ্বিগ্ন৷ গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে যে ভাবে ওই তরুণীর দেহ করা হয়েছে, তা আমাদের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। এ জন্যই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হল।’’ আদালত আরও জানায়, সমাজের প্রতি এই ঘটনার অপরিসীম প্রভাব রয়েছে৷ এই ঘটনায় শুধু নির্যাতিতাই নয়, তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করার মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে সরকারি প্রশাসনের উচ্চ-কর্তাদের বিরুদ্ধে। পুলিশ-প্রশাসন ওই দলিত পরিবারের সামাজিক ও আর্থনৈতিক অসঙ্গতির ফাদয়া তুলে তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করেছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হবে৷ নির্যাতিতার পরিবারের উপর যেন কোনও ভাবেই চাপ সৃষ্টি করা না হয়, তা নিশ্চত করতেও উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *