নয়াদিল্লি: রাজধানীর শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনায় একের পর এক তথ্য সামনে আসছে এবং তা বিস্ময় সৃষ্টি করছে। মূল অভিযুক্ত আফতাব নিজেই পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছিল যে সে ধারালো একটি অস্ত্র দিয়ে খুন করেছিল শ্রদ্ধাকে, পর তার দেহ কেটে ৩৫ টুকরো করে। কিন্তু পুলিশ না মেয়েটির দেহের বাকি অংশ খুঁজে পাচ্ছে না এতদিনে অস্ত্রের কোনও খোঁজ পাচ্ছিল। তবে এবার জানা গেল, একটি অস্ত্রের সন্ধান মিলেছে। তাহলে এটি দিয়েই কি শ্রদ্ধাকে খুন করেছে আফতাব?
আরও পড়ুন- ৫০ বছর পরে ফের চাঁদের মাটিতে পা দেবে মানুষ? মহাকাশে পাড়ি দিল নাসার মহাকাশযান
পুলিশ সূত্রে খবর, যে ছুরি দিয়ে শ্রদ্ধার দেহের ৩৫ টুকরো করেছিল আফতাব সেটি তারা হাতে পেয়েছে। দক্ষিণ দিল্লির ছত্তরপুরে ফ্ল্যাট, যেখানে আফতাব ও শ্রদ্ধা লিভ-ইনে থাকত, সেখান থেকেই সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও আফতাব যে কল সেন্টারে চাকরি করত সেখান থেকে একটি কালো পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। অনুমান এই ব্যাগেও হতো দেহাংশের টুকরো রেখেছিল আফতাব, তবে সেটা এখনই প্রমাণ করা মুশকিল। কিন্তু আফতাবের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতে হিমশিম খাওয়া পুলিশ এখন এই ধারালো অস্ত্র নিয়েই কিছুটা দিশা দেখছে।
ইতিমধ্যেই দিল্লির এক আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে, আফতাবের সঙ্গে কোনও রকম জোরাজুরি বা জবরদস্তি করা যাবে না। ‘থার্ড ডিগ্রি’ পর্যন্ত দিতে পারবে না পুলিশ। কারণ আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তার ‘নারকো টেস্ট’ হতে চলেছে। তার আগে আদালত চাইছে আফতাব শান্ত থাকুক। কারণ সেই পরীক্ষা থেকে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারে পুলিশ।