নয়াদিল্লি: ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়ের পর মার্কিন মুলুকের নতুন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন জো বাইডেন। কিন্তু রিপাবলিকান পার্টির ট্রাম্পের সঙ্গে আপাত ঘনিষ্ঠ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী কি ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারবেন? সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। তবে জল্পনা উড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী তথা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের বার্তাই দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এদিন আরো একবার সামনে এল সেই সৌহার্দ্যের ছবি।
আরও পড়ুন- “দেশটা বিশ্বাসের উপর চলে না”, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসেও অনড় রাকেশ টিকাইত
আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান, অগ্রাধিকার, এবং নানা আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এদিন এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। হোয়াইট হাউসে জো বাইডেনের ক্ষমতায় আসার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এটাই ছিল তাঁর প্রথম আলাপচারিতা। এদিন এই আলাপচারিতার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই শেয়ার করেন নরেন্দ্র মোদী। দুই দেশের প্রধানের মধ্যেকার সৌহার্দ্যের বার্তা দেন তিনি।
নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে সোমবার রাত ১১টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, “আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা হল। ওঁর সাফল্যের জন্য আমার শুভেচ্ছা জানিয়েছি। আমরা বিভিন্ন আঞ্চলিক সমস্যা এবং আমাদের যৌগ অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছি। আবহাওয়া পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়েও একে অপরকে সাহায্যের কথা বলেছি।”
আরও পড়ুন- খুব শীঘ্রই দেখা হবে! পুরোদমে আবার রাজনীতিতে শশীকলা
অন্য একটি ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট বাইডেন আর আমি নিয়মতান্ত্রিক শাসনে দায়বদ্ধ। আমাদের কৌশলী পার্টনারশিপের জন্য আমরা দুজনেই মুখিয়ে আছি। ইন্দো-প্রশান্ত এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা আমাদের লক্ষ্য।”
উল্লেখ্য, গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর দ্বিতীয় দিনেই ভারতের প্রসঙ্গ শোনা গিয়েছিল আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রকের মুখে। ভারতের সঙ্গে সৌহার্দ্যের বার্তাই দিয়েছিলেন তাঁরা। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার আগে ২০১৩ সালে একবার ভারতে এসেছিলেন জো বাইডেন। ভাইস প্রেসিডেন্টসহ তাঁর মন্ত্রীসভার একাধিক সদস্যই ভারতীয় বংশোদ্ভূত।