চেন্নাই: কিছুদিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি, তাও আবার তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে। এবার পুরোদমে ফের একবার রাজনীতিতে আসার কথা জানিয়ে রাখলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ শশী কলা। সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই সকলের সঙ্গে দেখা হবে, তাড়াতাড়ি পুরোদমে রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চলেছেন তিনি।
দুর্নীতির মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ কোটি টাকার আর্থিক জরিমানা হয়েছিল শশীকলার। রাজনীতিতে ফেরার প্রসঙ্গে এদিন তিনি জানিয়েছেন, AIADMK অনেক বাধা বিপত্তি কাটিয়ে ফের একবার মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। তিনি আশা রাখছেন, সবাই আবার একসঙ্গে কাজ করা শুরু করে তাদের শত্রুদের হারাবেন। এদিকে তার ‘ঘর ওয়াপসির’ ব্যাপারে তাঁর সমর্থকরা খুশি হলেও তামিলনাড়ু রাজ্যের সবাই এই ব্যাপারে খুশি নয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যুর পর দল যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারপর থেকে শশীকলাকে খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না তাঁরা। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে একটা দলের পতাকা অবমাননার অন্যটা রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করার। সেই প্রেক্ষিতে দলীয় কার্যালয়ে যাবেন কিনা সেই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ভেবে দেখবেন।
প্রসঙ্গত, জেলে থাকাকালীন শশীকলাকে দলের প্রধানের পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছিল এবং তাঁকে সরিয়েছিলেন খোদ পালানিস্বামী। যদিও এই পালানিস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসিয়েছিলেন শশীকলা নিজে এমন কথা প্রচলিত আছে। যদিও সেই কথা মানতে নারাজ পালানিস্বামী। তাই শশীকলার ফের একবার রাজনীতিতে আসার খবরে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক জল্পনা এবং আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় দোষী প্রমাণিত হয়ে ২০১৭ সাল থেকে জেলে ছিলেন শশীকলা এবং তাঁর দুই আত্মীয় ইল্লাবারাসি ও সুধাকরন। আয়কর দফতর শশীকলা ও তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে যোগ থাকার সন্দেহে ১৮৭টি বাড়িতেও হানা দিয়েছিল। প্রায় ১৪৩০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে।