নয়াদিল্লি: পুনরায় দাপট দেখাতে শুরু করেছে দেশের কোভিড সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার পেরিয়ে গিয়েছে এবং মৃত্যুও হয়েছে একাধিক। তাই স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়ছে দেশের। এই অবস্থায় পরিস্থিতি যাতে আগের মতো হাতের বাইরে না চলে যায় তার জন্য ইতিমধ্যেই পদক্ষেপের কথা ভেবেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রেক্ষিতেই বুধবার উচ্চপর্যায়ে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে আজকের এই বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ, নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য)-সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- চিকিৎসার খরচ নিয়ন্ত্রণে জোর, বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোম নিয়ে পদক্ষেপ
ভারতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১৩৪ জন। এক দিনে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। মৃতেরা ছত্তিসগড়, দিল্লি, গুজরাত, মহারাষ্ট্র এবং কেরলের বাসিন্দা। সাম্প্রতিক অতীতে কোভিড সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হারের নিরিখে এটিকে সর্বোচ্চ বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই দেশবাসীর কপালের চিন্তার ভাঁজ গাঢ় হচ্ছে। এই অবস্থায় আজকের এই বৈঠক যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য। অনুমান করা হচ্ছে, দেশে কোভিড সংক্রমণের সম্ভাব্য স্ফীতির মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”তুরস্কে ভূমিকম্পের পর ভয়াবহ বন্যা! Earthquake-affected areas of Turkey hit by flash floods” width=”835″>
শেষ পাওয়া তথ্য বলছে, দেশে করোনা সক্রিয়তার হার প্রায় ১৪ টি জেলায় ১০ শতাংশ বা তার ওপর। এছাড়া দেশের ৩৪ টি জেলায় করোনা সক্রিয়তার হার ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে। সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাডিনো ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের যে দাপট দেখা গিয়েছে তা হয়তো করোনাকে আরও শক্তিশালী করেছে, এমনটাই অনুমান করছে চিকিৎসক মহলের একাংশ। তাই এখন তাঁদের একটাই পরামর্শ, সচেতন থাকা।