নয়াদিল্লি: ফাইজার ভারতের বাজারে আসার ছাড়পত্র চেয়ে আলোচনা চালাচ্ছে দিন কয়েক ধরেই৷ এরই মাঝে মর্ডানা ও ফাইজারের টিকা ভারতে এলে তার কার্যকারিতা কতটা, এ নিয়ে কথা বললেন এইমসের কর্তা।
আরও পড়ুন- সরকারের কোভিড কিটে পতঞ্জলির করোনিল, তীব্র কটাক্ষ চিকিৎসকদের
ভারতে ফাইজার সংস্থার প্রস্তুতকারী টিকা এলে সেটা শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্ক দু’ পক্ষ নিতে পারবে এবং এই টিকা উভয়ের ক্ষেত্রেই সাহায্য করবে৷ চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন যে , টিকাগুলি সম্পর্কে সেভাবে কোনও তথ্য নেই এবং এই ভ্যাকসিন নিয়ে যে গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত নেয়, তিনি তাঁর অংশ নন। তবে তিনি জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ইউরোপে বেশ কয়েকজনের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। ফলে সকলকেই সাবধান হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। তবে ভ্যাকসিন যখন দেওয়া হচ্ছে, তখন সেদেশের প্রচুর ভারতীয় বংশোদ্ভূতও এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং তাঁদের মধ্যে অনেকেরই কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি।
আপৎকালীন পরিস্থিতিতে মার্কিন, ইউকে বা হু দ্বারা আনুমোদিত ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার ঘটনা এর আগেও বহুবার ঘটেছে৷ মার্কিন, ইউকে বা হু দ্বারা অনুমোদিত ভ্যাকসিনকে ট্রায়াল ছাড়া ভারতে ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে বলে ভারতের তরফে ডিজিসিআই জানিয়েছে। এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ডিজিসিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে যে, ফাইজার ও মর্ডানার মতো ভ্যাকসিনকে এবার ট্রায়াল ছাড়াই ভারতীয়দের দেওয়া যেতে পারে বলে ভাবনা চিন্তা চলছে। এমনকি, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ভারতে ফাইজার এবং মর্ডানার মতো বিদেশি টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত কোনও নিয়ম না মেনেই ব্যবসা করতে পারবে৷ এর জেরে কোনও আইনি জটিলতায় পড়বে না দুই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা। বিদেশি টিকা সংস্থাগুলিকে এই ধরনের ছাড় দেওয়া হতে পারে এমন ইঙ্গিত পাওয়ামাত্রই ভারতীয় টিকা প্রস্তুতাকারী সংস্থা সেরাম এই সুবিধা পাওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে৷ তাদের বক্তব্য, সবার জন্যই একই নিয়ম হওয়া উচিত৷