নয়াদিল্লি: উত্তরাখণ্ড সরকারের কোভিড কিটে পতঞ্জলির কোরোনিল! প্রতিবাদে ফেটে পড়লেন সে রাজ্যর চিকিৎসক সংগঠন৷ করোনিলের অন্তর্ভুক্তিকরণকে ‘মিক্সোপ্যাথি’ বলে কটাক্ষ করেছেন তাঁরা৷ কেন করোনা কিটের মধ্যে করোনিল রাখা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন৷
আরও পড়ুন- টুইটারে নীল টিক হারালেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত, দেশ জুড়ে বিতর্কের ঝড়
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই অ্যালোপ্যাথি নিয়ে মন্তব্যের জেরে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন যোগগুরু৷ প্রতিবাদে ‘কালো দিবস’ পালন করেন চিকিৎসকরা৷ এরই মধ্যে করোনা কিটে করোনিল রেখে বিতর্কে উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ রাজ্যের চিকিৎসক সংগঠনগুলির বক্তব্য, ‘‘পতঞ্জলির ওষুধ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র অনুমোদন প্রাপ্ত নয়৷ কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকাতেও কোনও আয়ুর্বেদিক ওষুধ রাখার কথা উল্লেখ করা হয়নি৷ তা হলে কী ভাবে করোনা কিটে করোনিল অন্তর্ভুক্ত করা হল?’’ তাঁদের কথায়, অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে পতঞ্জলির করোনিলের অন্তর্ভুক্তিকরণ ‘মিক্সোপ্যাথি’৷
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাজারে আত্মপ্রকাশ করে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলির করোনিল৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি৷ গত মাসে হরিয়ানা সরকারের করোনা কিটে অন্তর্ভুক্ত হয় এই ওষুধ৷ এবার তা জায়গা পেল উত্তরাখণ্ডে৷ যা নিয়ে বেজায় অসন্তুষ্ট চিকিৎসা মহল৷
কিছু দিন আগে রামদেবের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিল৷ যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা বোকামি৷ অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়েই লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন৷ তার চেয়েও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন চিকিৎসা বা অক্সিজেন না পেয়ে৷’’ কোভিড চিকিৎসার জন্য যে সকল ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো নিয়ে গবেষণাই করা হয়নি বলেও দাবি তাঁর। অন্যদিকে তাঁর দাবি, গবেষণা করেই আনা হয়েছে করোনিল৷ যে ওষুধকে ভুয়ো বলা হচ্ছে৷ অপর একটি ভিডিয়োতে রামদেব বলেন, ‘‘অ্যালোপ্যাথি রোগ নিয়ন্ত্রণ করে৷ আয়ুর্বেদ রোগ নির্মূল করে৷’’