নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের অতিমারী মোকাবিলায় বিজ্ঞানীদের দীর্ঘ চেষ্টার পর যে কটি ভ্যাকসিন হাতে এসেছে, তার মধ্যে অন্যতম হিসেবে উল্লেখের দাবি রাখে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোজেনেকা টিকা। লন্ডনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ভারতেও এই টিকা তৈরি করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট। এমনকি সিরাম নির্মিত এই ‘কোভিশিল্ড’ দিয়েই শুরু হয়েছে ভারতের করোনা টিকাকরণ। কিন্তু অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়েই এবার বিরূপ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে একাধিক দেশ।
আরও পড়ুন- “গ্রেটার নামে হয়নি FIR”, জানিয়ে দিল দিল্লি পুলিশ
৬৫ বছর বয়সের উর্দ্ধে ব্যক্তিদের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না, এদিন এমনটাই ঘোষণা করেছে দুটি দেশ। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএন (CNN) সূত্রে খবর, প্রবীণদের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডেনমার্ক এবং নরওয়ে প্রশাসন। উভয় দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকেই বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে।
বস্তুত, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ভ্যাকসিন বিশ্বের বাজারে এযাবৎ মোটামুটি সফল হিসেবেই স্বীকৃত হয়েছে। কেন হঠাৎ এই ভ্যাকসিন নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিল ডেনমার্ক আর নরওয়ে? জানা গেছে, বয়স্কদের ওপর এই টিকার প্রভাব সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য খুঁটিনাটি এখনও হাতে আসে নি বলেই দাবি করেছে দুই দেশের প্রশাসন। তাই এ বিষয়ে ঝুঁকি নেওয়া থেকে বিরত থাকছেন তাঁরা। এদিন ডেনমার্কের ন্যাশনাল বোর্ড অফ হেলথ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “প্রবীণদের উপর অক্সফোর্ড টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও তথ্য না পাওয়ার আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ৬৫ বছরের কম বয়সীদেরই দেওয়া উচিত।” অনুরূপ ঘোষণা করেছে নরওয়েও।
আরও পড়ুন- রেল বাজেটে বঞ্চিত বাংলা, অধিকাংশ প্রকল্পে বরাদ্দ মাত্র হাজার টাকা!
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, অ্যাস্ট্রোজেনেকা সম্পর্কে এই ধরণের সিদ্ধান্ত নতুন নয়। এর আগে একাধিক দেশই বয়স্কদের উপর অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন প্রয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সমস্ত দেশের তালিকায় আছে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানি, সুইৎজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও সুইডেন। প্রতিটি দেশের প্রশাসনেরই দাবি, অ্যাস্ট্রাজেনেকা যে তথ্য জমা দিয়েছে তা অনুমোদনের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এদিকে তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিন করোনা মোকাবিলায় ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকরী বলেই জানিয়েছে অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ।