নয়াদিল্লি: ৩৪ বছর পর দেশে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রবর্তন করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার৷ বদলে ফেলা হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থার খোলনলচে৷ তবে নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে এখনও নানা প্রশ্ন রয়েছে মানুষের মনে৷ প্রশ্ন রয়েছে নয়া শিক্ষানীতিতে সংরক্ষণ নিয়েও৷ মঙ্গলবার সংসদে সেই প্রশ্নেরই জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখারিয়াল নিশাঙ্ক৷ জানালেন, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে বিদ্যমান সংরক্ষণ ব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনও পরিকল্পনা নেই৷
আরও পড়ুন- LAC মানছে না চিন, লাল ফৌজের আগ্রাসনে সীমান্তে উত্তেজনা, বললেন রাজনাথ
এদিন লোকসভায় একটি লিখিত প্রশ্নের জবাবে পোখারিয়াল বলেন, ‘‘সংরক্ষণ নীতি বদলের কোনও প্রশ্নই নেই৷ যেমন ভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা ছিল, তেমনই বহাল থাকবে৷’’ এদিকে, ২০২২ সালের মধ্যে এই শিক্ষানীতি পুরোদস্তুর চালু করতে শিক্ষক, অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের উদ্যোগী হওয়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘নয়া শিক্ষানীতি কার্যকর হলে ১৩০ কোটির বেশি দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক করে তোলার জন্য পরিকাঠামোর সংস্কারই কেন্দ্রের লক্ষ্য। পূর্বের শিক্ষা পদ্ধতির খামতিগুলি নয়া ব্যবস্থায় দূর করা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন- বিয়ের জন্য ছুটি নয়, কাজ শেষে ছাদনাতলা বসলেন ডেপুটি কমিশনার
প্রসঙ্গত, ১০+২ শিক্ষা ব্যবস্থার বদলে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে ৫ + ৩ + ৩ + ৪ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে৷ পড়ানোর পদ্ধতি ও পাঠ্য বইয়েও কিছু বদল আনা হয়েছে৷ নয়া শিক্ষানীতিতে বিজ্ঞান, সাহিত্য, কলা এই বিভাগ থাকবে না৷ কেউ যদি পদার্থবিদ্যা বা রসায়নের সঙ্গে বেকারি শিখতে চায় কিংবা রসায়নবিদ্যার সঙ্গে ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়তে চায়, তাহলে পড়ুয়ারা সেই সুযোগ পাবে৷ এ ছাড়াও ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই ভোকেশনাল বিষয় শেখানো হবে। মূল্যায়ন বিধিতেও কিছু বদল আনা হবে।
উচ্চশিক্ষাতেও বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে৷ নয়া শিক্ষানীতিতে চালু করা হবে মাল্টিপল এন্ট্রি এবং এক্সিট পদ্ধতি৷ এই সুবিধা হব, যদি কোনও পড়ুয়াকে মাঝপথে পড়াশোনা ছাড়তে হয়, তাহলে সে যতদূর পড়েছে আবার সেখান থেকেই শুরু করতে পারবে৷