বিয়ের জন্য ছুটি নয়, কাজ শেষে ছাদনাতলা বসলেন ডেপুটি কমিশনার

দেশে করোনা সংক্রমণ উত্তরোত্তর বাড়ছে। বর্তমানে অসম জেলার পরিস্থিতি ভয়ানক। ওই রাজ্যের প্রায় ১০০ শতাংশ মানুষই এখন করোনা সংক্রমিত। প্রশাসন থেকে চিকিৎসক প্রমুখদের প্রতি মুহুর্তে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেত হচ্ছে। এক মুহুর্তও বিশ্রামের উপায় নেই। এদিকে অসম রাজ্যের এক আইএএস অফিসারের বিয়ের কথা ঠিক হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে নিজের জেলাকে ছেড়ে তিনি বিয়ে করতে যেতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোককে। তাই বড় অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে উড়ে এসে তাঁকে বিয়ে করলেন।

 

অসম: দেশে করোনা সংক্রমণ উত্তরোত্তর বাড়ছে। বর্তমানে অসম জেলার পরিস্থিতি ভয়ানক। ওই রাজ্যের প্রায় ১০০ শতাংশ মানুষই এখন করোনা সংক্রমিত। প্রশাসন থেকে চিকিৎসক প্রমুখদের প্রতি মুহুর্তে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেত হচ্ছে। এক মুহুর্তও বিশ্রামের উপায় নেই। এদিকে অসম রাজ্যের এক আইএএস অফিসারের বিয়ের কথা ঠিক হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে নিজের জেলাকে ছেড়ে তিনি বিয়ে করতে যেতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোককে। তাই বড় অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে উড়ে এসে তাঁকে বিয়ে করলেন।

হায়দরাবাদের বাসিন্দা কীর্তি জাল্লি। ২০১৩ সালে মহিলা আইএএস অফিসার হিসাবে চাকরি পান। সুদুর হায়দরাবাদ থেকে চাকরি সুত্রে কীর্তি'র পোস্টিং হয় অসম এর কাছার জেলায়। এখন তিনি কাছার জেলার ডেপুটি কমিশনার। বেশ কয়েকবছর এই রাজ্যে থাকার সুবাদে এখানকার পরিবেশ ও মানুষদের কেমন নিজের বলে মনে করেন কীর্তি। বর্তমানে করোনা দাপটে অসম রাজ্যের অবস্থা সঙ্গিন। তাই দিনরাত এক করে পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসক ও প্রশাসন। কিন্তু এর মধ্যেই কীর্তির বিয়ের ঠিক হয়। সেই কারণে তাঁকে ছুটি নিতে বলা হয় পরিবার ও শ্বশুরবাড়ির তরফে।

কিন্তু কর্মসূত্রে অসম রাজ্যে থাকলেও তিনি সেই রাজ্যকে নিজের রাজ্য বলে সম্মোধন করে জানান,  তিনি এই পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই নিজের রাজ্য ছেড়ে যেতে পারবেন না। এখন তাঁর পক্ষে ছুটি নেওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। তাঁর হবু স্বামী কীর্তির এই সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আকাশ পথে উড়ে এসে শিলচরেই বিইয়ে সারলেন। অসমে আসার পর ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর নির্দিষ্ট সময়ে বিবাহের বাঁধনে জড়ালেন তাঁরা। কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি যেমন শ্রদ্ধার কথা ফুটে ওঠে তেমনই এই ঘটনা থেকে মেয়েদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানোর কথাও প্রমাণিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × four =