নয়াদিল্লি: ক্রমশ চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ওমিক্রন৷ ভারতে ইতিমধ্যেই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ জন৷ স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি ফের লকডাউনের পথে হাঁটবে দেশ? করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এর ভয়াবহ স্মৃতি এখনও টাটকা৷ তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে লকডাউনকেই কি অস্ত্র করা হবে? সম্প্রতি একটি সর্বভারতী সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন নীতি আয়োগের সদস্য ডা. ভিকে পাল।
আরও পড়ুন- বিরোধীদের ‘সাঁড়াশি চাপ’, সংসদে নাগাল্যান্ড ইস্যুতে বিবৃতি দেবেন অমিত শাহ
বলা হচ্ছে অধিক মিউটেশন হওয়ায় ওমিক্রন অনেক বেশি সংক্রামক৷ ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে ৭ জনের শরীরে ওমিক্রনের অস্তিত্ব মিলেছে৷ রাজস্থানের জয়পুরে একই পরিবারের নয় জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে ওমিক্রন৷ তাঁদের মধ্যে ৪ জন সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছেন৷ গতকাল পর্যন্ত ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৷ একলাফে তা বেড়ে ২১ এ পৌঁছেছে৷ তাহলে কি অতি দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে তৃতীয় ঢেউয়েক কারণ হয়ে দাঁড়াবে ওমিক্রন? এ বিষয়ে নানা জনে নানা কথা বললেও, ভি কে পাল জানান, এই মুহূর্তে লকডাউনের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।
তিনি জানান, দেশ যে কোনও ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত রয়েছে। এই মুহূর্তে লকডাউনের কোনও প্রয়োজনীয়তাই নেই৷ বর্তমান প্রেক্ষিতে কোভিডের বুস্টার ডোজ নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ওমিক্রন নিয়ে পরীক্ষা চলছে। এই পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারব আমরা। গবেষকদের সঙ্গে আমাদের কথা হচ্ছে৷ বুস্টার ডোজের কতখানি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, কতদিনের মধ্যে বুস্টার দেওয়া উচিত, এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলছে। তবে সবার আগে সকল প্রাপ্ত বয়স্কদের সম্পূর্ণ টিকাকরণই আমাদের লক্ষ্য।’
সম্প্রতি কানপুর আইআইটি-র গবেষক মনীন্দ্র আগরওয়াল জানিয়েছেন, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই দেশে করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রন শিখরে পৌঁছবে৷ এই সময় আবার বিধানসভা ভোট রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, মণিপুর এবং পঞ্জাবে৷ সেই সময় এই ভ্যারিয়্যান্ট ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাঁর পরামর্শ, করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ রুখতে অল্পদিনের জন্য হলেও লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।