নীতীশ না তেজস্বী? দ্বিতীয় দফার ইভিএম-এই কি লেখা হবে বিহারের ভাগ্য

নীতীশ না তেজস্বী? দ্বিতীয় দফার ইভিএম-এই কি লেখা হবে বিহারের ভাগ্য

পাটনা: আরও একবার কি বিহারের মসনদে ফিরবেন নীতীশ কুমার? নাকি তারুণ্যের ঝড়ে ঘটবে পালা বদল? এই প্রশ্নের জবাব দিতে শুরু করেছে বিহারের জনগণ৷ প্রথম দফার ভোটে ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে নীতীশ কুমারের আট মন্ত্রীর৷ আগামীকাল দ্বিতীয় দফার ভোট৷ রাজনীতির কারবারিদের মতে, দ্বিতীয় দফার ভোটের উপর অনেকটাই নির্ভর করছে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিহারের ভাগ্য৷ 

আরও পড়ুন- আপত্তি উড়িয়ে গিলগিট-বালটিস্তানকে ‘প্রদেশে’র স্বীকৃতি পাকিস্তানের, তীব্র প্রতিবাদ নয়াদিল্লির

আগামীকাল ১৭টি জেলায় মোট ৯৪টি আসনে হবে নির্বাচন৷ প্রথম দফায় ভোট হয়েছিল ১৬টি জেলার ৭১টি আসনে৷ ২৪৩ সদস্যের বিহার বিধানসভায় দুই তৃতীয়াংশের ভাগ্য নির্ধারিত হবে আগামীকাল৷ বলা যেতে পারে দ্বিতীয় দফার ভোটের উপরই দাঁড়িয়ে রয়েছে নীতীশ কুমার আর তেজস্বী যাদবের ভবিষ্যৎ৷ কার হাতে উঠবে বিহারের রাজ্যপাট, তা বলবে দ্বিতীয় দফা৷ বিহারে তৃতীয় দফার ভোট হবে ৭ নভেম্বর৷ 

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় বর্তমানে জেলে বন্দি লালু প্রসাদ যাদব৷ রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসাবে উঠে এসেছে লালুপুত্র তেজস্বী যাদব৷ প্রথম দফার ভোটের পর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়েছেন নীতীশ৷  পাল্টা আক্রমণ চলছে তেজস্বীরও৷ লালুপুত্র তথা বিহারে বিরোধী মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব লড়ছেন বিহারের আরজেডি দূর্গ রঘোপুর থেকে। এই নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ ২০১৫ সালে এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন তেজস্বী৷ তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন জেডিইউয়ের সতীশ কুমার। প্রসঙ্গত, সতীশ কুমার ২০১৫ সালে হারলেও, ২০১০ সালে তিনিই লালুপত্নী রাবড়ী দেবীকে  আরজেডি-র এই ঘাঁটিতেই পরাস্ত করেছিলেন। ফলে এখানে কড়া টক্করই হবে৷  

সম্প্রতি তেজস্বীর জনসভায় দেখা গিয়েছিল বিপুল জন সমাবেশ৷ যদিও এর পিছনে ছিল আরজেডি’র সুকৌশলী চাল৷ তেজস্বীর সভার জন্য তুলনামূলক ছোট মাঠ বেছেছিলেন তাঁরা৷ যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা বেশ দৃষ্টিনন্দন হয়৷ বিহার বিধানসভার দ্বিতীয় দফার ভোটে ৯৪টি আসনের মধ্যে ৫৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে লালুর দল৷ এর মধ্যে বিজেপি’র সঙ্গে সরাসরি মোকাবিলা হবে ২৭টি আসনে৷ জেডিইউ-র মুখোমুখি হবে ২৪টি আসনে৷ দ্বিতীয় দফায় ৪৬টি আসনে লড়বে বিজেপি, কংগ্রেস লড়বে ২৪টি আসনে৷ 

আরও পড়ুন- চার বছরের মেয়ের গলায় ‘বন্দে মাতরম’, ভিডিও শেয়ার করলেন আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

লালু প্রসাদের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ লড়বেন হানসাপুর কেন্দ্র থেকে৷ তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছেন জেডিইউয়ের রাজকুমার রায়। ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সালে পর্যন্ত এই রাজকুমার রায়ই ছিলেন হানসাপুরের বিধায়ক৷ সূত্রের খবর, প্রথমে বিহারের মহুয়া কেন্দ্রটি তেজপ্রতাপকে দেওয়া হয়েছিল। ওই আসনে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী ঐশ্বর্য প্রার্থী হতে পারেন ভেবে তিনি সেই আসনটি ছেড়ে দেন। যদিও একথা মানতে চায়নি আরজেডি শিবির৷ সব মিলিয়ে আগামীকালের ভোট যুদ্ধে থাকবে টানটান উত্তেজনা৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 4 =