আপত্তি উড়িয়ে গিলগিট-বালটিস্তানকে ‘প্রদেশে’র স্বীকৃতি পাকিস্তানের, তীব্র প্রতিবাদ নয়াদিল্লির

আপত্তি উড়িয়ে গিলগিট-বালটিস্তানকে ‘প্রদেশে’র স্বীকৃতি পাকিস্তানের, তীব্র প্রতিবাদ নয়াদিল্লির

নয়াদিল্লি: ভারতের আপত্তি উড়িয়েই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট বালটিস্তানকে ‘পঞ্চম প্রদেশ’-এর মর্যাদা দিল ইমরান খান সরকার৷ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গিলগিট-বালটিস্তানকে পাকিস্তানের প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করার পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ভারত৷ ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ভারতীয় ভূখণ্ডের  এই অঞ্চলদুটিকে অবৈধভাবে দখল করেছে পাকিস্তান৷ এই অংশে যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে তা ‘দৃঢ় ভাবে’ প্রত্যাখ্যান করছে ভারত৷ 

আরও পড়ুন- চার বছরের মেয়ের গলায় ‘বন্দে মাতরম’, ভিডিও শেয়ার করলেন আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ১৯৪৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী গিলগিট–বালটিস্তান ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু–কাশ্মীরের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ভারতীয় ভূখণ্ডের এই অংশ বলপূর্বক ও অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান৷ এই অঞ্চলে যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে পাকিস্তান, ভারত তা কোনও ভাবেই সমর্থন করে না৷ ১৯৪৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী, গিলগিট–বালটিস্তান জম্মু–কাশ্মীরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই অঞ্চলে কোনও পরিবর্তন আনার অধিকার পাকিস্তানের নেই৷  এ ধরনের কাজ মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমান।’’ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়,  ‘‘৭০ বছর ধরে একটি অঞ্চলের মানুষদের স্বাধীনতা খর্ব করে চলেছে পাকিস্তান। ভারতের যে অঞ্চলগুলি পাকিস্তান জোড় করে দখলে রেখেছে, সেগুলি নিজেদের অধীনে নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে অবিলম্বে সরে আসা উচিত ইসলামাবাদের। অবৈধভাবে দখল করা ভারতীয় অঞ্চলগুলিতে পরিবর্তনের চেষ্টা না করে সেগুলি অবিলম্বের খালি করে দেওয়া উচিত পাকিস্তানের৷  

আরও পড়ুন- কী ভাবে কাজ করবেন ভাবী আমলারা? মন্ত্র দিলেন নমো

জানা গিয়েছে, রবিবার গিলগিট-বালটিস্তানকে ‘পঞ্চম প্রদেশ’ বলে ঘোষণা করার পর সেখানে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, নদী বাঁধের মতো একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ এই সকল প্রকল্পের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে আসে ভারত বিরোধী মন্তব্যও৷ তবে গিলগিট-বালটিস্তানকে পাকিস্তানের  প্রদেশ হিসাবে মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত যে পাক সেনাবাহিনী ও চিনের অঙ্গুলিহেলনেই হয়েছে, তা মোটামুটি স্পষ্ট। আদলে পাক সেনাবাহিনীর হাতের পুতুল ইমারান খান। অন্যদিকে পাকিস্তানের এই অঞ্চলে বেশ কিছু খনির পরিচালনা করে চিন। এছাড়াও এই অঞ্চলের কারাকোরাম সড়কপথ পণ্য সরবরাহের জন্যও ব্যবহার করতে চায়  বেজিং৷ তাই গিলগিট-বালটিস্তান পাকিস্তানের হাতে থাকুক, তা জোড়াল ভাবেই চাইছিল চিন৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *